বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের সড়কে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি

বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের ২ নম্বর গেট এলাকার সড়ক পানিতে থই থই করছে। বাধ্য হয়ে হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে চলাচল করে নগরবাসী। চট্টগ্রাম, ৭ সেপ্টেম্বর
ছবি: সৌরভ দাশ

চট্টগ্রাম নগরে আবারও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ভারী বৃষ্টি শুরু হলে নগরে এ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টি শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে নগরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। বৃষ্টি থামার এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরও কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটুসমান পানি জমেছিল। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে।

বুধবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম নগরে। এতে নগরের চকবাজার, ষোলশহর, ২ নম্বর গেট, শুলকবহর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, ডিসি সড়ক, তিন পুলের মাথা, পাঠানটুলী, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা ও বহদ্দারহাট এলাকায় পানি জমে যায়। কিছু এলাকায় বিকেল সাড়ে চারটায়ও পানি জমেছিল।

চকবাজারের বাসিন্দা ও মুদিদোকানি হামিদুর রহমান বলেন, বৃষ্টি শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ সময় হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায় এলাকার রাস্তাঘাট। এতে বিপণিবিতান ও কাঁচাবাজারে আসা মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। কেউ কেউ বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশায় চলাচল করলেও অন্যদের আটকে থাকতে হয়।

ডিসি সড়কের বাসিন্দা মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টিতে তাঁদের এলাকার রাস্তা ও গলি পানিতে ডুবে যায়। পানিনিষ্কাশনব্যবস্থা খুব খারাপ। নালা-নর্দমাগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। চাক্তাই খালও ভরাট হয়ে গেছে। তাই বৃষ্টি থামার পরও পানি নামতে সময় লাগে। আর কষ্ট নিয়ে চলাচল করতে হয় এলাকার মানুষদের।

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিন থেকে পাঁচ বছর ধরে এসব প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু জলাবদ্ধতার সমস্যার তেমন উন্নতি হয়নি। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিয়মিত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে এখন পর্যন্ত অন্তত আটবার পানিতে তলিয়ে গেছে নগর। এ মৌসুমে পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে ছিল।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোবারক আলী প্রথম আলোকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নালা-নর্দমা ও খালগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। তাই বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় পানি জমলেও দ্রুত নেমে গেছে। আর চাক্তাই খাল খনন না করার কারণে চকবাজার, কাতালগঞ্জ ও বহদ্দারহাট এলাকায় পানি জমে থাকছে। সেখানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে।