যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা প্রাণী উদ্ধারকারী সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

প্রাণী উদ্ধারকারী সংগঠন যেগুলোর যথাযথ প্রশিক্ষণ নেই, সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

প্রাণী উদ্ধারে প্রশিক্ষণ নেই ‘রবিনহুডের’, তাসফিয়ানের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন—শিরোনামে গত ডিসেম্বরে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে নিহত তাসফিয়ান ইসলামের মা তানজিনা রহমান চলতি মাসের শুরুতে রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

বিদ্যুতের তারে আটকে পড়া টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে তাসফিয়ান ইসলামের (আতিফ) মৃত্যুতে তাঁর পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, স্বরাষ্ট্রসচিব, বন ও পরিবেশসচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসচিব, বিদ্যুৎসচিব, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা শহরের বহুতল ভবনের কার্নিশ, বৈদ্যুতিক তারসহ বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া পশু-পাখি উদ্ধারে কাজ করে ‘রবিনহুড দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার’। স্বেচ্ছাসেবী এ সংস্থার সদস্যরা ১৩ বছর ধরে এমন উদ্ধারকাজ চালিয়ে আসছেন। তবে এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আফজাল খানসহ উদ্ধারকর্মীদের এ কাজের প্রশিক্ষণ নেই। কেরানীগঞ্জে বিদ্যুতের তারে আটকে পড়া টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে আফজাল খানের দেহরক্ষী তাসফিয়ান ইসলাম (২০) দগ্ধ হন। গত ২১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দুইটার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।