মানারাত ইউনিভার্সিটিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নবীনবরণ

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে অনুষ্ঠিত প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ইসলামিক ব্যক্তিত্বরা
ছবি: সংগৃহীত

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নবীনবরণ ও উচ্চশিক্ষা নিয়ে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাসের সভাকক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষাবিদ ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বরা ‘ইসলামিক স্টাডিজ ইন হায়ার এডুকেশন: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড সল্যুশনস ফ্রম বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর খান এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। মডারেটর ছিলেন স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্যানেল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক, উত্তর বাড্ডা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর খান বলেন, পৃথিবীতে যত ধর্ম, দেশ, জাতি কিংবা সভ্যতা আছে, সব কটির মূলনীতি এক। তা হলো, মিথ্যা কথা বলা যাবে না, কাজে ফাঁকি দেওয়া যাবে না, কাউকে ঠকানো যাবে না, অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা যাবে না। এগুলো হলো নৈতিকতার শিক্ষা। এ শিক্ষাই দিচ্ছে মানারাতের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ।

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচকেরা বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ এবং এর সংকট, সমাধান ও সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কো–অর্ডিনেটর মো. রুহুল আমীনের স্বাগত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন মো. মাহবুব আলম, রেজিস্ট্রার মো. মোয়াজ্জম হোসেন, কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশনস ও অ্যাডমিশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এ এইচ এম আবু সাঈদ, সিজিইডির কো–অর্ডিনেটর মুহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ ছাড়া নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

সব শেষে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী গত পরীক্ষায় ভালো ফল করেছেন এবং বিভাগের উন্নয়ন ও বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁদের পুরস্কৃত করা হয়।