ব্যাংকের ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন

আদালতপ্রতীকী ছবি

অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৯১ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। ওই ব্যবসায়ীর নাম মজিবুর রহমান ওরফে মিলন। তিনি মুহিব স্টিল অ্যান্ড শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক। সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন।

দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের দায়ে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। আরেকটি ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে। আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, অগ্রণী ব্যাংক চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি পূর্বপাড় করপোরেট শাখা থেকে মজিবুর রহমান বিদেশ থেকে স্ক্র্যাব জাহাজ আমদানির জন্য ঋণ নেন ২০১০ সালে। তা পরিশোধ না করায় সুদে আসলে ৯১ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যাংক তাঁর কাছে পাওনা থাকে। কিন্তু ঋণ পরিশোধ না করে মজিবুর গা ঢাকা দেন।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের মে মাসে দুদকের সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ বাদী হয়ে মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এতে মজিবুরের অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়। ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচার শুরু করেন। ১০ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।