সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের হত্যাকাণ্ড তদন্তে ভারত সরকার বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। দুই দেশের তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আজকের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের কলকাতায় নৃশংসভাবে খুন হওয়ার বিষয়টি ওঠে। কেন তিনি খুন হলেন, ব্যবসাসংক্রান্ত বিষয় ওই খুনের সঙ্গে যুক্ত কি না জানতে চাওয়া হয় রণধীর জয়সোয়ালের কাছে। এই হত্যাসংক্রান্ত বাড়তি কিছু তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আছে কি না, তা জানতে চান সাংবাদিকেরা।
রণধীর জয়সোয়াল বিস্তারিত কোনো তথ্য না জানালেও বলেন, এই ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ–আলোচনা করেই তদন্ত চালাচ্ছেন। দুই পক্ষের মধ্যে তথ্যের বিনিময় হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে এই বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এই খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে যাঁকে মনে করা হচ্ছে, সেই আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁকে সে দেশ থেকে ফেরত আনতে বাংলাদেশ ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে। রণধীর জয়সোয়াল অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে, আক্তারুজ্জামানের প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা না করার আপাতগ্রাহ্য কোনো কারণ নেই। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। অপরাধটিও সংঘটিত হয়েছে ভারতে। সেই কারণে তদন্তের জন্য ভারত তাঁকে ফেরত চাইতেই পারে। অবশ্য সূত্রের খবর, ভারত এখনো এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। মনে করা হচ্ছে, লোকসভার ভোটের পর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হবে।