ভোটকেন্দ্রে কাকপক্ষীও নেই

বোয়ালখালীর গোমদণ্ডী পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ খাঁ খাঁ করছে
ছবি: সৌরভ দাশ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ছে না। কিছু কিছু কেন্দ্রে দু–একজন দেখা গেলেও কার্যত সাধারণ ভোটারের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। কিছু কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের অনুসারীদের উপস্থিতি চোখে পড়েছে।

সকাল সাড়ে আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। গোমদণ্ডী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল পৌনে ১০টায় দেখা যায় কোনো ভোটার নেই। কেন্দ্রের সাতটি কক্ষের দুটিতে তখনো ভোট পড়েনি।

বাকি ৫ কক্ষে ভোট পড়েছে ২০টি। কেন্দ্রগুলোয় নৌকা মার্কার প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, উপনির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ কম। তবে কোনো ধরনের চাপ নেই।

এ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা সুগত বড়ুয়া বলেন, ‘কোনো কাকপক্ষীও নেই দেখছি।’
গোমদণ্ডী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা গেছে নৌকা প্রতীকের কিছু লোকজন অবস্থান করছেন। তবে ভোটার নেই।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান। কারণ, এ উপনির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ–উদ্দীপনা কম দেখা গেছে।

নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা এস এম মিজানুর রহমান ও কাজী আয়েশা ফারজানা। মিজানের প্রতীক আনারস, ফারজানার দোয়াত–কলম। মূলত, নৌকার সঙ্গে আনারসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তিনি পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র।

উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে বোয়ালখালী এলাকায় বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটার নেই। তাই অলস সময় পার করছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। সকাল সাড়ে ৯টায় গোমদণ্ডী পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে
ছবি: সৌরভ দাশ

বোয়ালখালীর উপনির্বাচনে মোট কেন্দ্র রয়েছে ৮৬টি। এর মধ্যে ৪৭টিকে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মোট ভোটার ২ লাখ ৬ হাজার ১৬৭ জন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।

নির্বাচনে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। প্রতি কেন্দ্রে স্ট্রাইকিং ফোর্সও নিয়োজিত থাকবে। তিন প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।

বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আশা করি, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলমের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়।