আধুনিক মেশিন, গুণগত মান ও নকশার বৈচিত্র্যের কারণে ডিবিএল সিরামিকসে আস্থা ডিলারদের
দেশের শীর্ষস্থানীয় টাইলস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘ডিবিএল সিরামিকস’। সারা দেশে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সমৃদ্ধ ডিসপ্লে সেন্টার ও ডিলার পয়েন্ট। ডিবিএল এবং গ্রাহকের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের অন্যতম সেতু হলো ডিলার, যাঁদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে দেশের আনাচে–কানাচে। মুঠোফোনে তেমনই কয়েকজন ডিলারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারেক মাহমুদ নিজামী।
প্রথম আলো :
ফেনীর বাজারে টাইলস ও স্যানিটারির চাহিদা কেমন?
দিদারুল আলম ভূঁইয়া: ফেনী জেলা অর্থনৈতিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ হওয়ায় শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ভবন তৈরির সময় আধুনিক ও মানসম্মত টাইলস ও স্যানিটারির ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। এ জন্য অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় ফেনীতে ক্রেতাদের চাহিদাটাও একটু বেশি।
প্রথম আলো :
বর্তমানে কোন ধরনের টাইলস ক্রেতাদের বেশি পছন্দ?
দিদারুল আলম ভূঁইয়া: বর্তমানে ক্রেতারা টাইলস কেনার সময় ডিজাইনকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। আর বড় সাইজগুলোই বেশি পছন্দ করছেন।
প্রথম আলো :
গৃহনির্মাণ নাকি বাণিজ্যিক প্রকল্পের সামগ্রী—কোনটি বেশি বিক্রি হচ্ছে?
দিদারুল আলম ভূঁইয়া: এ অঞ্চলে আবাসিক প্রকল্পগুলো বেশি হয়ে থাকে। তাই ৭০ শতাংশ গৃহনির্মাণ এবং ৩০ শতাংশ বাণিজ্যিক ভবনের জন্য বিক্রি হয়ে থাকে।
প্রথম আলো :
আপনার কাছে অন্য ব্র্যান্ডগুলো থেকে ডিবিএল সিরামিকস কেন আলাদা?
দিদারুল আলম ভূঁইয়া: আমি ২০১৮ সাল থেকে ডিবিএলের সঙ্গে আছি। আধুনিক মেশিনে টাইলস উৎপাদনের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ডিজাইন এবং মান আন্তর্জাতিক মানসম্মত। এটাই ডিবিএল সিরামিকসের স্বাতন্ত্র্য।
প্রথম আলো :
ভবিষ্যতে সিরামিকস ও টাইলস খাতে কী পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করেন?
দিদারুল আলম ভূঁইয়া: গত সাত–আট বছরে আমি সিরামিকস ও টাইলসে অনেক বৈচিত্র্য দেখেছি। বর্তমানে বাজারে কিছু বিদেশি ব্র্যান্ডের টাইলস দেখা যায়। কোনো যাচাই–বাছাই ছাড়া ক্রেতারাও সেগুলো পছন্দ করছেন। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে মানহীন ব্র্যান্ড এ খাতে সুবিধা করতে পারবে না। কারণ, ক্রেতারা এসব ব্যাপারে প্রতিনিয়ত সচেতন হবেন। তখন সিরামিকস ও টাইলস খাতের ক্যাপাসিটি এবং বৈচিত্র্য আসবে। দিন শেষে মানসম্মত পণ্যই টিকে থাকবে।
প্রথম আলো :
আপনাকে ধন্যবাদ।
দিদারুল আলম ভূঁইয়া: আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রথম আলো :
বন্দর নগরীখ্যাত নারায়ণগঞ্জে শিল্প ও আবাসিক প্রকল্প মিলিয়ে টাইলসের বাজার কেমন সক্রিয়?
হুমায়ূন কবীর: নারায়ণগঞ্জ দেশের অন্যতম ব্যস্ত শিল্পনগরী হওয়ায় এখানে টাইলসের বাজার অত্যন্ত সক্রিয় ও প্রতিযোগিতামূলক। সরকারি–বেসরকারি প্রকল্প, গার্মেন্টস, গুদাম, বাণিজ্যিক ভবন ও নতুন আবাসিক প্রকল্প—সব মিলিয়ে চাহিদা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
প্রথম আলো :
গ্রাহকদের কাছে কি শহুরে আধুনিক ডিজাইন পছন্দ নাকি ঐতিহ্যবাহী ডিজাইনও জনপ্রিয়?
হুমায়ূন কবীর: নারায়ণগঞ্জের ক্রেতারা বৈচিত্র্যময়। তাই এখানে দুই ধরনের ডিজাইনই জনপ্রিয়। তরুণ প্রজন্ম এবং নতুন ফ্ল্যাট ক্রেতাদের মধ্যে সিম্পল ম্যাট লুকের আধুনিক টাইলসের চাহিদা অনেক বেশি। তবে ট্রাডিশনাল ডিজাইনও বেশ কিছু ক্রেতার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম আলো :
গ্রাহকদের কাছে কী কী কারণে ডিবিএল সিরামিকস আস্থা অর্জন করেছে?
হুমায়ূন কবীর: ডিবিএল সিরামিকসের সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কারখানা, উৎপাদন-সুবিধা, বিশ্বখ্যাত ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞ লোকবল প্রতিটি টাইলসের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে। গ্রাহকদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রয়-পরবর্তী সেবা প্রদানেও ডিবিএল সিরামিকস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়তে গ্রাহকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা এবং প্রয়োজন অনুসারে সেবা প্রদান করা হয়, এভাবেই ডিবিএল সিরামিকস আস্থা অর্জন করেছে।
প্রথম আলো :
একজন ডিলার হিসেবে আপনি ডিবিএলের সাপোর্ট, মানে পণ্য সরবরাহ, সার্ভিস, প্রচারণা ইত্যাদি কেমন পাচ্ছেন?
হুমায়ূন কবীর: ডিবিএল সিরামিকসের ডিলার হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত ইতিবাচক। তাদের পণ্যের বাজারে চাহিদা অনেক বেশি, যা বিক্রয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সময়মতো পরিবহন সহায়তা পাওয়ায় স্টক ম্যানেজমেন্ট সহজ হয়ে যায়। পাশাপাশি ব্র্যান্ডিং এবং শোরুম সাপোর্টের ক্ষেত্রে ডিবিএল সিরামিকস নিয়মিত সহায়তা প্রদান করে থাকে। তাদের সেলস টিমের সাপোর্টও প্রশংসনীয়। প্রোডাক্ট জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং গ্রাহক যোগাযোগে সব সময় সক্রিয় সহযোগিতা পাওয়া যায়। বিক্রয় বাড়ানোর জন্য ডিবিএল নিয়মিতভাবে সেলস প্রোগ্রাম, প্রোমোশন এবং ইনসেনটিভ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে, যা ব্যবসাকে আরও গতিশীল ও লাভজনক করে তোলে।
প্রথম আলো :
পরিবেশবান্ধব টাইলসের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কতটা বাড়ছে?
হুমায়ূন কবীর: তরুণ প্রজন্ম ও উচ্চবিত্ত গ্রাহকদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা এখন আরও টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পণ্য বেছে নিতে আগ্রহী। যদিও এখনো বাজার সীমিত, তবে আশা করি সামনে আরও আগ্রহ বাড়বে।
প্রথম আলো :
আপনাকে ধন্যবাদ।
হুমায়ূন কবীর: আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রথম আলো :
রাজধানীর গ্রাহকেরা টাইলস বেছে নেওয়ার সময় সবচেয়ে বেশি কী বিবেচনা করেন—ডিজাইন, দাম নাকি ব্র্যান্ড?
মো. রাসেল: ক্রেতারা সাধারণত টাইলস কেনার জন্য আগে থেকেই ইন্টেরিয়রের সঙ্গে সংগতি রেখে ডিজাইনটা মাথায় নিয়ে আসেন। দেখার পর ব্র্যান্ডটা খোঁজেন। এ দুটি যখন কারও পছন্দ হয়, তখন তিনি টাইলসটা কিনে নেন। তবে মাঝেমধ্যে দামটাকেও বিবেচনায় রাখেন।
প্রথম আলো :
আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক ভবনের জন্য কোন ধরনের টাইলসের চাহিদা বেশি?
মো. রাসেল: বর্তমানে ক্রেতাদের কাছে ম্যাট লুকের আধুনিক টাইলসের চাহিদা বেশি। তারপর রয়েছে স্টোনের ওপর হাই গ্লোসি ডিজাইনের টাইলস। এ দুই ধরনের টাইলসই অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক ভবনের জন্য ক্রেতারা বেশি পছন্দ করছেন।
প্রথম আলো :
ডিবিএল সিরামিকসের কোন বৈশিষ্ট্যগুলো ঢাকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আপনাকে সুবিধা দিয়েছে?
মো. রাসেল: মান, স্থায়িত্ব ও ডিজাইনের কারণে ক্রেতারা ডিবিএলের পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি ডিবিএলের পক্ষ থেকে মার্কেটিং ও প্রোমোশনাল টুলস এবং বিভিন্ন ক্যাম্পেইন আমাদের ডিলারদের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে।
প্রথম আলো :
একজন ডিলার হিসেবে, গ্রাহকদের সঙ্গে ডিবিএলের সম্পর্ক গড়তে আপনি কী অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন?
মো. রাসেল: আমার অভিজ্ঞতাটা খুবই ভালো। সাধারণত ক্রেতাদের অধিকাংশই বিক্রয়–কর্মকর্তার পণ্যের তথ্য অনুযায়ী কেনার ব্যাপারে আগ্রহী হন। এদিক থেকে আমার ক্রেতারাও ব্যতিক্রম নন। আর ডিবিএলের পণ্য মানসম্মত হওয়ায় গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো অভিযোগও পাই না। এভাবেই তাঁদের সঠিক ব্র্যান্ড বোঝাতে এবং বিক্রি করতে সক্ষম হচ্ছি বলেই ব্যবসা ভালো হচ্ছে।
প্রথম আলো :
ভবিষ্যতে টাইলসের ডিজাইন ও ট্রেন্ড নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
মো. রাসেল: ডিবিএল সব সময় যুগ ও গ্রাহকের চাহিদায় নিজেদের পণ্য ডিজাইন করে। এটি শুধু টাইলস বা সিরামিকস খাত নয়, প্রতিটি জিনিসেই নতুনত্ব, বৈচিত্র্য, প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও আরও ভালো মানের পণ্যের চাহিদা থাকে। আমার অভিজ্ঞতায়, ভবিষ্যতে ‘হাই গ্লোসি ওয়াল’ টাইলস ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে।
প্রথম আলো :
আপনাকে ধন্যবাদ।
মো. রাসেল: আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রথম আলো :
ঢাকার হাতিরপুল এলাকা নির্মাণসামগ্রীর জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। এখানে টাইলসের বাজার কেমন?
মাসুদ রানা: এখানে ডিবিএল ছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠানের শোরুম রয়েছে। ফলে ক্রেতারা এক জায়গা থেকেই অনেক ব্র্যান্ডের টাইলস যাচাই–বাছাই এবং তুলনা করে সঠিকটি পছন্দ করতে পারেন। যা এ বাজারের প্রতিযোগিটাকে আরও বেশি ত্বরান্বিত করে।
প্রথম আলো :
আপনার অভিজ্ঞতায় কী কী কারণে ডিবিএল সিরামিকস গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে?
মাসুদ রানা: ক্রেতারা ডিবিএল টাইলসের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ডিজাইন ও কোয়ালিটি। পাশাপাশি ডিবিএলের শক্তিশালী মার্কেটিং টিম তাদের পণ্যের খবর ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। এসব কারণেই গ্রাহকেরা আমাদের প্রতি আস্থা রাখছেন।
প্রথম আলো :
নতুন প্রজন্মের মধ্যে কোন ধরনের ডিজাইন বা ট্রেন্ড জনপ্রিয় হচ্ছে?
মাসুদ রানা: নতুন প্রজন্ম এবং স্থাপত্যবিদদের কাছে ডিবিএলের বেশ কয়েকটি টাইলস বেশ জনপ্রিয়। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাট সিরিজ, জিপি সিরিজ, মিরর পলিশ, হাই গ্লোসি এবং জিপি প্রিমিয়াম।
প্রথম আলো :
স্থানীয় প্রতিযোগিতা থাকা সত্ত্বেও ডিবিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু কতটা পার্থক্য তৈরি করছে?
মাসুদ রানা: আগেই বলেছি, দেশে টাইলস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অনেক রয়েছে। আর এক জায়গায় যখন অনেকগুলো শোরুম থাকে, গ্রাহক বাছাই ও তুলনা করার সুযোগ পান। সেদিক বিবেচনায় ঘুরেফিরে আমাদের কাছেই আসেন। এতেই ব্র্যান্ড ভ্যালুটা বেড়ে যায়। তাই ব্র্যান্ডের পাশাপাশি পণ্যের মানও কিন্তু পার্থক্যটা তৈরি করে, যেখানে ডিবিএলের অবস্থান শীর্ষে।
প্রথম আলো :
আপনার দৃষ্টিতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সিরামিকস খাত কেমন হতে পারে?
মাসুদ রানা: বাংলাদেশে অনেক বিদেশি ব্র্যান্ডের টাইলসও পাওয়া যায়। কিন্তু এগুলো মান না বাড়িয়ে দাম ঠিকই বেশি নিচ্ছে। ক্রেতারা যখন দেখবে এসব পণ্য থেকে দেশি এবং স্থানীয় পণ্যে সেবা ভালো পাচ্ছে, আমার বিশ্বাস ক্রেতারা পুরোপুরি দেশি ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা রাখবেন।
প্রথম আলো :
আপনাকে ধন্যবাদ।
মাসুদ রানা: আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রথম আলো :
কুমিল্লার চান্দিনা অঞ্চলে টাইলস ও স্যানিটারির বাজার কেমন? গ্রামীণ ও শহুরে গ্রাহকদের চাহিদার মধ্যে কী কী পার্থক্য দেখেন?
শামসুল আলম তারেক: আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। এখানে বাজার খুবই ভালো। আমার কাছে গ্রামের ক্রেতারাই বেশি আসেন। পার্থক্য বলতে গ্রামের গ্রাহকেরা বড় বড় আয়তনের ফ্ল্যাটের জন্য টাইলস কিনতে আসেন, যেখানে শহরের ক্রেতারা কম আয়তনের টাইলস কেনেন। গ্রামের গ্রাহকেরা গ্লেইজ ও পলিশ টাইলসের প্রতি আকৃষ্ট হন। আর শহরের গ্রাহকদের কাছে জিপি ও ম্যাট সিরিজের টাইলস বেশি জনপ্রিয়।
প্রথম আলো :
আপনার অভিজ্ঞতায়, ক্রেতারা কোন বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন—দাম, মান নাকি ডিজাইন?
শামসুল আলম তারেক: বেশির ভাগ ক্রেতাই ব্র্যান্ডের নাম শুনে কিনতে আসেন। কিন্তু এখানে এসে যদি নামের সঙ্গে মানের পার্থক্য বেশি দেখেন, তখন অন্য দোকানেও যাচাই করেন। তবে অধিকাংশ গ্রাহকই শেষ পর্যন্ত আমাদের পণ্যই পছন্দ করেন।
প্রথম আলো :
ডিবিএল সিরামিকসের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন? কীভাবে এই ব্র্যান্ড আপনার ব্যবসায়িক সমৃদ্ধিতে সহায়তা করছে?
শামসুল আলম তারেক: সাত বছর ধরে আমি টাইলসের ব্যবসা শুরু করেছি। খুবই ছোট্ট পরিসরে ১০ ফুট বাই ২০ ফুটের দোকান দিয়ে। দুই বছর আগে আমি ডিবিএলের ডিলার হই। যখন নিজ উদ্যোগে শুরু করি, তখনো আমার পণ্য ছিল ডিবিএল, এখনো ডিবিএল। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, কোনো পণ্যের প্রয়োজন হলে বলামাত্রই এক দিনের মধ্যে সরবরাহ করে। এ জন্য আমি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারছি, যা ব্যবসায়িক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রথম আলো :
স্থানীয় ক্রেতারা কি এখন আধুনিক ও প্রিমিয়াম ডিজাইনের দিকে বেশি ঝুঁকছেন নাকি সাধারণ ব্যবহারিক টাইলসকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন?
শামসুল আলম তারেক: যুগের চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহকেরা বর্তমানে আধুনিক ও প্রিমিয়াম টাইলসকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। এর মধ্য রয়েছে স্মল টাইলস, হাই গ্লোসি ও স্টোন বডির টাইলসগুলো। আর সব শ্রেণির গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের টাইলস থাকায় দামের ব্যাপারে খুব একটা ভাবতে হয় না।
প্রথম আলো :
ভবিষ্যতে কুমিল্লা অঞ্চলে টাইলসের বাজারের কেমন সম্ভাবনা দেখছেন?
শামসুল আলম তারেক: উপজেলা পর্যায়ে হলেও এখানে টাইলসের বাজার সম্ভাবনাময়। কুমিল্লা এলাকায় আমাদের ভালো বিক্রয়ের ধারাবাহিকতায় আজ আমরা সারা বাংলাদেশেই ভালো সাফল্য অর্জন করছি।
প্রথম আলো :
আপনাকে ধন্যবাদ।
শামসুল আলম তারেক: আপনাকেও ধন্যবাদ।