জাপানে জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে বাংলাদেশ বিমানকে অভ্যর্থনা

ছবি: বাসস

১৭ বছর পর জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ড্রিমলাইনার বোয়িং-৭৮৭ গাঙচিলের অবতরণের সময় জলকামান দিয়ে সেটিকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় ঢাকা-নারিতা রুটের বিমানের প্রথম ফ্লাইট বিজি ০৩৭৬ পৌঁছালে টোকিও থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্বের বিমানবন্দরে সেটিকে অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।

জলকামান অভ্যর্থনা হলো অ্যাভিয়েশন সেক্টরের একটি ঐতিহ্যবাহী শিষ্টাচার, যেখানে বিমানবন্দরগুলো নতুন এয়ারলাইনকে স্বাগত জানায়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলীর নেতৃত্বে বিমানের প্রতিনিধিদলকে বিমানবন্দরের লাউঞ্জে স্বাগত জানান নারিতা বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা। লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে জাপানের সঙ্গে বিমানের সরাসরি সংযোগ বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও সংস্কৃতি বিনিময়ের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন ফ্লাইটটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। কারণ, সরাসরি সংযোগ দুই দেশের মধ্যে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে নতুন ফ্লাইটটি বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে আরও বাড়াবে ও জাপানি পর্যটকদের বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোতে আকৃষ্ট করবে।

বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, নেপাল ও কলকাতার যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে বিমান ইতিমধ্যে নারিতা রুটে ব্যাগেজের বেশি ওজনসহ লোভনীয় প্যাকেজ অফার করেছে। বিমানপ্রধান বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা কোড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে জাপান হয়ে অন্যান্য বাহকের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল ও কানাডায় যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।

শফিউল আজিম বলেন, বর্তমানে বিমান কোড শেয়ারিংয়ের জন্য জাপান এয়ারলাইনস লিমিটেড (জেএএল), অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ ও এয়ার কানাডার সঙ্গে কাজ করছে।

কোড শেয়ারিং হলো একটি বিপণন ব্যবস্থা, যেখানে একটি এয়ারলাইনস অন্য এয়ারলাইনসের পরিচালিত ফ্লাইটে তার মনোনীত কোড রাখে এবং সেই ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি করে।

প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও প্রায় ৪১ হাজার ভারতীয় ও ১ লাখ ৪০ হাজার নেপালি জাপানে বসবাস করছেন। জাপানের বিচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত জাপানে ২০ হাজার ৯৫৪ জন বাংলাদেশি বসবাস করছিলেন।

ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ ও ৭৮৭-৯ এয়ারক্রাফট দিয়ে বিমান সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ঢাকা থেকে প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার এবং নারিতা থেকে প্রতি শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট ছাড়বে।

আরও পড়ুন