নেসলে বাংলাদেশের ‘এগিয়ে চলার সাহস পতাকা’

নানা কারণে এখন বাংলাদেশের অনেক তরুণ উচ্চশিক্ষা বা উন্নত জীবনের জন্য পাড়ি দিচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার আকাঙ্ক্ষা থেকে এই বাস্তবতা তৈরি। তবে অনেকেই হয়তো ভুলে যান, দেশ ছেড়ে গেলেও তাঁদের শিকড় জন্মভূমিতেই থাকে; থাকে প্রিয় বাংলাদেশে। তাই পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি না কেন, মাতৃভূমির প্রতি শিকড়ের টান সব সময় আমাদের সঙ্গে রয়ে যায়।

পতাকা। একটি শব্দ, কিন্তু হাজারো আবেগ। যার মধ্যে থাকে একটি জাতি, একটি দেশের জন্মের আবেগ। এই পতাকা, এই পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকে পুরো জাতি, কোটি কোটি মানুষ, যা সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে। তারা এই আবেগ বুকে ধারণ করে সামনের দিকে এগোতে থাকে। আমাদের জন্যও লাল-সবুজের পতাকাটা একটা আবেগের বিষয়। অনেক সংগ্রাম, অনেক ত্যাগসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই পতাকা পেয়েছি আমরা, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমরা ধারণ করে যাচ্ছি। এই পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বটা পরের প্রজন্মেরই।
আমরা যেখানেই থাকি না কেন, এই পতাকা আমাদের মনে করিয়ে দেয় দেশের কথা। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মরণপণ যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জন করা বিজয়ের কথা। বিজয়ের ৫১ বছর পরে এসে আগের অজানা সব কথা, বিজয়ের গল্প নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে তাঁদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার।

এ সূত্র ধরেই নেসলে বাংলাদেশ ২০২২ সালের মহান বিজয় দিবসে নিয়ে এসেছে এক দারুণ গল্প। ‘এগিয়ে চলার সাহস পতাকা’ শিরোনামের এই গল্পে আমরা দেখি, দুই প্রজন্মের কথোপকথন, আর প্রিয় পতাকার গৌরবের গল্প। সম্পর্কের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের হাতে সঁপে দেওয়ার আদলেই তৈরি এই গল্প। ভালো থাকা আর ভালো রাখার প্রত্যয় নিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারের বিজয় দিবসে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই নেসলে বাংলাদেশের এ উদ্যোগ।

লাল-সবুজ পতাকাই হোক পুরো পৃথিবীতে আমাদের এগিয়ে চলার সাহস ও প্রতিজ্ঞা। এই পতাকা আর বিজয়ের গৌরব বুকে নিয়ে দেশের মানুষ জয় করুক সমগ্র বিশ্ব। আর এ মন্ত্র ছড়িয়ে পড়ুক সব বাঙালির জীবনে।
বিজয়ের গৌরবে প্রিয় পতাকাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হোক আমাদের সংকল্প। ভালোবাসা আর দেশপ্রেম ছড়িয়ে যাক বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি বাংলাদেশির মধ্যে।