‘সাংস্কৃতিক বিপ্লবের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী
ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, এখন ‘মৌলবাদের অর্থনীতি’ শক্তিশালী। বর্তমান সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায়। কিন্তু সাংস্কৃতিক বিপ্লবের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। এর দায়ভার একসময় এই সরকারকে নিতে হবে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে কপিরাইট বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে শামীম হায়দার এসব কথা বলেন।

চলচ্চিত্রজগতে আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা আসছে না, এমন মন্তব্য করে শামীম হায়দার বলেন, এ ক্ষেত্রে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সেখানে মানসম্পন্ন সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, নাটক হচ্ছে। কিছু সমালোচনা আছে, অশ্লীলতা আছে, নিয়ন্ত্রণের কিছু প্রয়োজন আছে। কিন্তু সাবলীলভাবে তারা একের পর এক সিরিজ করে যাচ্ছে।

জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিটি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বিভিন্ন সংস্থা করছে। এগুলো করার ফলে সৃজনশীলতা লোপ পেতে পারে। সিনেমা বানানোর সময় যদি মাথায় থাকে, সেন্সর বোর্ড এ জিনিসগুলো করবে, তখন সৃজনশীলতা থাকে না। এমনভাবে বিষয়গুলো করা হচ্ছে যাতে মানুষের চিন্তার খোরাক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে গণহারে পাইরেসি হয় বলে উল্লেখ করে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ফটোকপির দোকানে দেখা যায়, কারও না কারও বই অনুমতি ছাড়া কপি হচ্ছে। এর সুবিধা আছে, ছাত্ররা কম টাকায় বই পায়। তবে আন্তর্জাতিক দায় রয়ে গেছে। একটা সময় বাংলাদেশকে এ প্রশ্নের সম্মুখীন হতেই হবে যে এই পাইরেসির বিষয়ে সরকার কী করেছে।

পরে বিলের ওপর আনা বাছাই কমিটিতে প্রেরণ, জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে কপিরাইট বিল কণ্ঠভোটে পাস হয়। এতে বলা হয়েছে, কপিরাইটের মেয়াদ হবে ৬০ বছর। ২০০০ সালের কপিরাইট আইন রহিত করে নতুন এ আইন করা হচ্ছে।

বিলে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল কর্মের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকাশনা, চলচ্চিত্র, ডিজিটাল কাজ, নাটক, লোককাহিনি, শিল্পকলা এবং অডিও রেকর্ডিংয়ের মৌলিক কাজের অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে। বিলে অজ্ঞাতনামা বা ছদ্মনামীয় কর্মের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘একক বা যৌথভাবে রচিত ও ছদ্মনামে প্রকাশিত কোনো কর্মের ক্ষেত্রে প্রণেতার পরিচয় প্রকাশ হওয়ার আগপর্যন্ত প্রকাশক কর্তৃক জনসাধারণ্যে প্রকাশিত প্রণেতা অথবা তাঁর আইনানুগ প্রতিনিধি।’