টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু, ফিরছেন আটকে পড়া পর্যটকেরা
টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে বৈরী আবহাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া জাহাজ চলাচল এক দিন পর পুনরায় শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে টেকনাফের বিআইডব্লিউটিএর জেটিঘাট থেকে তিনটি জাহাজ প্রায় আড়াই শ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার পর সেন্ট মার্টিনে পৌঁছায় জাহাজগুলো। বিকেলে জাহাজগুলোতে সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকেরা টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে জাহাজ চলাচল পুনরায় শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এমভি রাজহংস ও এমভি বার আউলিয়া নামের তিনটি জাহাজ সকালে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকেরা বিকেলেই টেকনাফে ফিরতে পারবেন।
বৈরী আবহাওয়া ও কালবৈশাখীর আশঙ্কায় গতকাল রোববার সকালে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়েন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।
সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া ঢাকার একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের ১৮ সদস্যকে নিয়ে সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে যান তিনি। গতকাল ফেরার কথা থাকলেও জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরা হয়নি তাঁর। এ অবস্থায় রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ এক দিনের ভাড়া তাঁদের কাছ থেকে নেননি। পরিবারের সদস্যরা আনন্দ–উল্লাসের মধ্যেই সময় কাটিয়েছেন।
সেন্ট মার্টিনের উত্তর সৈকতে পর্যটকদের জন্য সামুদ্রিক মাছের বারবিকিউ করেন স্থানীয় বাসিন্দা মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, বাড়তি পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করায় ভালো ব্যবসা হয়েছে তাঁর। গতকাল রাতেই তিনি ৩৬ হাজার টাকার ব্যবসা করেছেন।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের হোটেল ব্যবসায়ী আবদুর রহিম বলেন, গতকাল রাতে তাঁদের দুটি রিসোর্টের ৩২টি কক্ষে পর্যটক ছিল। কারও কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়নি।