যাত্রী কল্যাণ সমিতির কাছে প্রমাণ চেয়েছে বাস মালিক সমিতি, নইলে আইনি ব্যবস্থা

ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে প্রতিদিন ১৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকার অতিরিক্ত ভাড়া-নৈরাজ্য হচ্ছে—এমন খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
সমিতির দাবি, দেশের সড়ক পরিবহন খাতকে অশান্ত করার হীন উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি একের পর এক অসত্য ও মনগড়া তথ্য পরিবেশন করে আসছে। এতে সড়ক পরিবহন সমিতির নেতাদের সুনাম বিশেষভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। পাশাপাশি জনগণের মাঝেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

আজ সোমবার সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান ওরফে রাঙ্গা ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহর পক্ষে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী  কোনো ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই না করে মনগড়া তথ্য দিয়ে পরিবহন খাতকে অস্থিতিশীল করার দুরভিসন্ধি করছে বলে আমাদের বিশ্বাস। যাত্রী কল্যাণ সমিতি কিসের ভিত্তিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের তথ্য পেয়েছে, সেগুলোর প্রমাণাদি অবশ্যই দিতে হবে। অন্যথায় মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে প্রতিদিন ১৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকার অতিরিক্ত ভাড়া-নৈরাজ্য হচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। পরে গতকাল রোববার যাত্রী কল্যাণ সমিতি একটি সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঢাকার গণপরিবহনে প্রতিদিন ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে জানায়। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সমিতি।
আরও পড়ুন

আরও পড়ুন