কলাকেন্দ্রে বাংলাদেশ-ভারতের ৮০ শিল্পীর চিত্রকর্মের প্রদর্শনী

প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও ভারতের ৮০ জন শিল্পীর ১৫০টি চিত্রকর্ম নিয়ে রাজধানীতে শুরু হয়েছে প্রদর্শনী অজ্ঞাতনামা-২। এ প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে অ্যাক্রিলিক, তেল-জল, কালির কাজ যেমন আছে, তেমনি আছে বস্তুর ব্যবহার সংবলিত চিত্রকর্ম। বিমূর্ত কাজের পাশাপাশি আছে নানা রকম ভাব ও ভাবনার বয়ান।

প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে কলাকেন্দ্র। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত শুক্রবার শুরু হয়েছে এই চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। এখানে যেসব শিল্পীর চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন নারী–পুরুষ–তৃতীয় লিঙ্গ, নবীন থেকে অশীতিপর শিল্পী। এমনকি শিল্পী নন, সংগ্রাহক, শখ করে আঁকেন এমন দু–একজনের কাজও রয়েছে সেখানে। তবে কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি দু–একটি ব্যতিক্রম বাদে ছবিগুলোতে নেই কোনো স্বাক্ষরও। শিল্পীরা নাম প্রকাশে ইচ্ছুক, তবে সেটা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পর।

গ্যালারিতে কথা হলো শিল্পী ওয়াকিলুর রহমানের সঙ্গে। এই প্রদর্শনীর বাছাই–বিন্যাস তিনিই করেছেন। তিনি বলেন, এক একজন শিল্পীর দুটি করে ছবি পাশাপাশি রাখা হয়েছে, অনেকটা খোলা বইয়ের মতো। একটি মেলে রাখা বইয়ের যেমন দুটি পৃষ্ঠা পড়া যায়, সেভাবে শিল্পীর কাজ বোঝা ও রস আস্বাদনের সুযোগ রয়েছে। গ্যালারির প্রতিটি দেয়াল সাজানো হয়েছে ভিন্ন ঘরানার কাজ দিয়ে।

ওয়াকিলুর রহমান বলেন, অনেক বড় শিল্পীর কাজও এখানে আছে। নাম উল্লেখ করলে সেগুলো হয়তো দুই বা তিন গুণ দামেও বিক্রি করা যাবে। কিন্তু এখানে শিল্পকর্ম ও শিল্পরসিকদের সঙ্গে একটা খেলা পাতা হয়েছে। শিল্পীর নাম নয়, নান্দনিকতার বিবেচনায় ছবি বিক্রি করা হবে। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথম এটি করা হয়েছিল। সেবার বেশ সাড়া পাওয়া গিয়েছিল।

গ্যালারিতে দেখা গেল শিল্পী হামিদুজ্জামান খান ও আইভি জামানকে। তাঁদের মতো ঘুরে ঘুরে দেয়ালের ছবিগুলো দেখছিলেন বেশ কয়েকজন তরুণ দর্শনার্থীও।

অজ্ঞাতনামা–২ চলবে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে কলাকেন্দ্র।