ঢাবির সাবেক উপাচার্য মাকসুদ কামালসহ প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রশাসনে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বিচার হবে

জবানবন্দি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম (মাঝে চশমা পরা)। তাঁর ডানে ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ এবং বাঁয়ে পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ। ১১ ডিসেম্বরছবি: প্রথম আলো

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রশাসনে যাঁরা ছিলেন, সবার বিচার এই স্বাধীন বাংলাদেশে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভিপি আবু সাদিক কায়েম।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের আহ্বানে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে জবানবন্দি দিতে আসেন সাদিক কায়েমসহ ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ এবং পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ। চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার কাছে তাঁরা সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁরা তিনজনই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানান, দুপুরের পরও জবানবন্দি দেবেন তাঁরা।

দুপুরে আবু সাদিক কায়েম সাংবাদিকদের বলেন, ঢাবির সাবেক ভিসি মাকসুদ কামালের ব্যাপারে তাঁদের কাছে অনেক তথ্য ইতিমধ্যে এসেছে। মাকসুদ কামালকে বিভিন্নভাবে শেল্টার (আশ্রয়) দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্নজন করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে সংগঠনগুলো আছে, তাঁদের একটা পক্ষ বিভিন্নভাবে সেভ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) দেওয়ার চেষ্টা করছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের নিয়ে এসে এখানকার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, সেই মাকসুদ কামালের বিচার এই স্বাধীন বাংলাদেশে হবে। মাকসুদ কামালের সঙ্গে ওই সময়ে যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিতে ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে যাঁরা ছিলেন, সবার বিচার এই স্বাধীন বাংলাদেশে হবে। তাঁরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তের দাগ লাগিয়েছেন, ভাইবোনদের মেরে রক্তাক্ত করেছেন। তাঁরা যখন হাসপাতালে যাচ্ছিলেন সেই হাসপাতালে ইসরায়েলিরা যেভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করে ঠিক একই কায়দায়, তার চেয়ে বর্বর কায়দায় তাঁদের ভাইবোনদের ওপর হামলা করা হয়েছে। সব এভিডেন্স (প্রমাণ) তাঁদের হাতে আছে। তাঁরা সেগুলো তদন্ত সংস্থাকে দিয়েছেন।

সাদিক কায়েম বলেন, জুলাইয়ে গণহত্যা, শিশু হত্যা ও শিক্ষার্থীদের ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে, এই ঘটনায় শেখ হাসিনার সঙ্গে যাঁরা সহযোগী ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিতে এসেছেন।