চীনের দেওয়ার অনেক কিছু আছে, আমাদেরও নেওয়ার আছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

বাংলাদেশ-চায়না সিল্ক রোড ফোরামের আলোচনা সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, দিলীপ বড়ুয়া, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার সোনারগাঁও হোটেলের সুরমা হলে
ছবি: সাজিদ হোসেন

চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়টি বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, চীনের দেওয়ার অনেক কিছু আছে, আমাদেরও নেওয়ার অনেক কিছু আছে।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন। চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই)’ ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ চীন সিল্ক রোড ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন।

বাংলাদেশে সড়ক যোগাযোগ, রেল, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘এ জন্য বিশ্বের সর্বত্র ঋণের জন্য যাচ্ছি। তবে ঋণের চেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রযুক্তি। কারণ, আমাদের প্রযুক্তির ঘাটতি টাকার চেয়ে বেশি। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীন অগ্রসর একটি রাষ্ট্র। সেখান থেকে শুধু পুঁজি নয়, অর্থ নয়, প্রযুক্তিও আনতে পারি। সেটা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে, স্বচ্ছতার মাধ্যমে আনতে পারছি।’

চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বহুমুখী উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, চীন কেন? কারণ, চীন এশীয় প্রতিবেশী। এটা এশিয়ার সময়, এটি মোটামুটি পরিষ্কার। এশিয়ার সময়টিতে অগ্রগামী ভূমিকায় চীন। এটা তারা পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করেছে। সুতরাং এশীয় প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। এখানে কারও প্রতি বিদ্বেষ বা পক্ষপাতমূলক কোনো বিষয় নয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা প্রায় সবাই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বিআরআই যখন শুরু হলো, তখন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান ওয়ার্কার্স পার্টির সেমিনারে বলেছিলেন, এই উদ্যোগ নতুন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পৃথিবীকে এগিয়ে নেবে। তিনি বলেছিলেন, বিআরআইয়ের মধ্যে দিয়ে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সামনের দিকে এগোবে।

মেনন বলেন, ১০ বছরে পৃথিবীতে বিআরআইয়ের যেসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং যেগুলো বাস্তবায়নের পথে রয়েছে, সব কটিই পৃথিবীর চিত্র পাল্টে দিচ্ছে। বিআরআইয়ে যোগদান করার ফলে বাংলাদেশেও অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে।

বাংলাদেশ চীন সিল্ক রোড ফোরামের সভাপতি ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম, ঢাকায় চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালং, চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফয়েজ আহমেদ, বাংলাদেশ চীন সিল্ক রোড ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ বি এম খোরশেদ আলম। আলোচনা ছাড়া অতিথিরা চিত্র প্রদর্শনীও ঘুরে দেখেন।