দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। একইসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদেরও সচিব তিনি। তাঁর নাম কানু কুমার নাথ (৫৮)। তথ্য গোপন করে ২৭ বছর ধরে দুটি চাকরি একসঙ্গে করে সরকারি বেতনভাতা উত্তোলনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নিজ কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

আতিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আসামি কানু কুমার নাথ চট্টগ্রামের হাটহাজারী মির্জাপুর ইউনিয়নের সচিব ও ফটিকছড়ির হেয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। মির্জাপুর ইউপি সচিব হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় কলেজে যোগদান করেন কানু কুমার নাথ। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বেতনভাতাদির ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৯ টাকা উত্তোলন করে নেন তথ্য গোপন করে। এই অভিযোগে কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

দুদকের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯১ সালে কানু কুমার নাথ মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সচিব হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সালে হেয়াকো ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০০২ সালে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।