হাদি হত্যার প্রধান আসামি ফয়সালের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

ফয়সাল করিম মাসুদছবি : বাসস

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন গত রোববার এ আদেশ দেন। বিষয়টি আজ মঙ্গলবার জানাজানি হয়।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আজ প্রথম আলোকে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ গত রোববার আসামি ফয়সালের আটটি ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। আদালতে আবেদনটি মঞ্জুর হয়েছে।

গত রোববার সিআইডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া এ তথ্যের ভিত্তিতে ফয়সাল করিমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার–সংক্রান্ত পৃথক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে তারা।

সেদিনই ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

আরও পড়ুন

হাদিকে গুলি করার পর ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে হাদি মারা গেলে মামলাটিতে হত্যার ধারা ৩০২ যুক্ত হয়।

আরও পড়ুন

এ মামলার পর এ পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আসামিরা হলেন ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া আক্তার ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ, রেন্ট–এ–কার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী, মোটরসাইকেলের মালিক মো. কবির, ভারতে পালাতে সহযোগিতাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম। এঁদের মধ্যে ফয়সালের মা–বাবা দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ড শেষে নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অপর আসামিরা রিমান্ডে রয়েছেন।