পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছর
উন্নয়নে পিছিয়ে, অধিকারেও বঞ্চনা
আড়াই দশক আগে পার্বত্য চুক্তি হলেও চুক্তির অনেক কিছুই এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উন্নয়নে এখনো পিছিয়ে পাহাড়িরা। ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। শান্তি ফেরেনি।
রাঙামাটির সাজেকে ২০১৫ সালেও দু-একটি কটেজ বা অবকাশযাপন কেন্দ্র ছিল। এখন সেখানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১১২টি কটেজ আছে। যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, পর্যটনে এগিয়েছে। অথচ এক দশক আগেও সাজেকে যাতায়াতের সড়ক ছিল না। ছিল হাঁটাপথ। এখন সর্পিল পিচঢালা সড়ক ধরে অল্প সময়ে সেখানে পৌঁছানো যায়। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ সবুজ পাহাড় আর মেঘের নাগাল পেতে সেখানে ছুটে যায়। কিন্তু সুচিকিৎসার নাগাল না পেয়ে এই সাজেক ইউনিয়নেরই তিন গ্রামে ২০২০ সালের এপ্রিলে হামে আক্রান্ত হয়ে ছয়টি ত্রিপুরা শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। হাম ও ম্যালেরিয়া এ জনপদে হানা দেয় ফি বছর।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকারকর্মী অধ্যাপক মং সানু চৌধুরী বলছিলেন, ‘সাজেকের পর্যটনের উন্নয়নের সুফল পাহাড়িরা তেমন পাননি। পর্যটনের জন্য ঝকঝকে সড়ক, নতুন নতুন ভবন হয়েছে। পাশাপাশি এখানকার অনেক মানুষের অপ্রাপ্তি আছে—এ যেন প্রদীপের নিচে অন্ধকার। শুধু সাজেকের নয়, গত আড়াই দশকে পাহাড়ের সব জায়গায় কমবেশি এমন চিত্র দেখা যায়।’
অধ্যাপক মং সানু যে আড়াই দশকের কথা বললেন, পাহাড়িদের কাছে এই সময়ের একটা ভিন্ন তাৎপর্য আছে। আজ থেকে আড়াই দশক আগে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। এর মাধ্যমে দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত শেষ হয়। পাহাড়ের শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়ের। আজ ২ ডিসেম্বর সেই পার্বত্য চুক্তির রজতজয়ন্তী।
পাহাড়ে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য লড়াইরত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ৭২টি ধারাসংবলিত চুক্তির মূল বিষয় ছিল স্থানীয় মানুষের স্বায়ত্তশাসন। চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘উপজাতীয় অধ্যুষিত’ অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করার মধ্য দিয়ে সেই স্বশাসনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পাহাড়ের অনেক মানুষেরই কথা, স্বশাসনের নানা নির্ণায়ক যেমন স্থানীয় রাজনীতি, অর্থনীতি ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে পাহাড়িদের নিয়ন্ত্রণ তো আসেইনি, বরং এসব ক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষ দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে।
চুক্তির একেবারে শুরুতে ‘এ অঞ্চলের উন্নয়নের সার্বিক প্রয়োজনীয়তা’ স্বীকার করা হয়। অনেকে স্বীকার করেন, চুক্তির পর পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে নানা ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তবে এসব সামাজিক সূচকে এখনো জাতীয় মানের চেয়ে পাহাড় পিছিয়ে।
সামাজিক সূচকে পিছিয়ে পাহাড়
পার্বত্য চুক্তির পরপরই ২০০২ সালে সরকারের সঙ্গে ইউএনডিপি ‘জিওবি/ডোনার রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট মিশন অন দ্য চিটাগাং হিল ট্রাক্টস’ শীর্ষক একটি বিশদ প্রতিবেদন তৈরি করে। পার্বত্য এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পার্বত্য এলাকার দারিদ্র্য ব্যাপক। গ্রামাঞ্চলে বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১০ হাজার টাকার কম। শহরে শিক্ষার হার ৫০ শতাংশ হলেও গ্রামে তা ৩০ শতাংশের কম।’
গত আড়াই দশকে শিক্ষার ক্ষেত্রে পাহাড়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। দূর পাহাড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েছে। শিক্ষার হারও বেড়েছে।
রাঙামাটি সদর থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সদর উপজেলায় পৌঁছাতে তিন ঘণ্টা লাগে বিলাইছড়ি। উপজেলা সদর থেকে নৌকায় আরও চার ঘণ্টা ফারুয়া সদর ইউনিয়ন। সেখান থেকে কিছুটা নৌকা এবং কিছুটা হেঁটে এক দিনের পথ মন্দিরাছড়া গ্রাম। এখানে পার্বত্য চুক্তির আগে কোনো স্কুল ছিল না।
চুক্তির পর জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) অধীনে দাতা সংস্থাগুলো পাহাড়ে কাজ শুরু করে। এরপর ২০০৮ সালে এখানে কমিউনিটি বিদ্যালয় হয়। সেটি সরকারি হয়েছে। ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘মন্দিরাছড়ার কাছাকাছি তাং খোই তাং, সাবাতলী, চাংগ্রাছড়ি গ্রামেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়েছে। দুর্গম অঞ্চলে এসব স্কুল স্থাপনকে চুক্তির সাফল্য বলতে পারি। তবে এসব যে খুব ভালোভাবে চলছে, বলতে পারি না। শিক্ষকসহ নানা সংকট আছে।’
দেশে এখন সাক্ষরতার হার ৭৬ শতাংশ। পার্বত্য তিন জেলার মধ্যে সাক্ষরতায় সবচেয়ে এগিয়ে রাঙামাটি, হার ৬৮ শতাংশ। খাগড়াছড়িতে এ হার ৪৪ ও বান্দরবানে ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। বান্দরবানের এ হার দেশে সবচেয়ে কম বলে জানান জেলা উপ–আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুর আহমেদ।
গত বছর পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) ও যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে চরম দারিদ্র্য নিয়ে একটি গবেষণা করে। ‘এক্সট্রিম পোভার্টি: দ্য চ্যালেঞ্জেস অব ইনক্লুশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা কুড়িগ্রাম, তারপরই বান্দরবান। আর দেশের সবচেয়ে দরিদ্র দুই উপজেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম।
দারিদ্র্যের সঙ্গে পুষ্টির নিবিড় সম্পর্কের কথা বলেন পুষ্টিবিদেরা। পুষ্টির নানা নিরিখে দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম বলে জানান বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ কার্যালয়ের মহাপরিচালক হাসান শাহ্রিয়ার। তিনি বলেন, দেশে খর্বকায় শিশুর হার ২৮ শতাংশ। রাঙামাটিতে এ হার ৩৬, বান্দরবানে ৩০ ও খাগড়াছড়িতে ২৭ শতাংশ।
পাহাড়ের কৃষি-অর্থনীতিতে নতুন সংযোজন ফল চাষ। দিন দিন এ অঞ্চলে ফলের উৎপাদন বাড়ছে। ২০১৭ সালে তিন পার্বত্য জেলায় ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টন ফল উৎপাদিত হয়েছে। গত বছর উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ১৮ লাখ টন।
হাসান শাহ্রিয়ার বলেন, ফল উৎপাদনে পার্বত্য তিন জেলা এগিয়ে থাকলেও সবজি কম হয়।
স্বায়ত্তশাসন দূরঅস্ত, স্বাতন্ত্র্য হুমকির মুখে
পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী পাহাড়ের সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার কথা আঞ্চলিক পরিষদ। এর অধীনে জেলা পরিষদগুলো কাজ করবে। জেলা প্রশাসনসহ সাধারণ প্রশাসনও পরিষদের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। কিন্তু এখন পরিস্থিতি যেন চুক্তির আগের অবস্থায় চলে গেছে। জেলা প্রশাসন চলছে নিজের মতো। তারা আঞ্চলিক পরিষদের কোনো কথা শোনে না। উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা জেলা পরিষদের হাতে। কিন্তু বাস্তবে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এসব প্রতিষ্ঠানকে আঞ্চলিক পরিষদের অধীনে আনতে যে বিধিমালা প্রণয়নের দরকার, তা আজও হয়নি।
চুক্তি অনুযায়ী, পার্বত্য এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের মাধ্যমে একটি ভোটার তালিকা করে তাদের ভোটে জেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো সেই ভোটার তালিকা হয়নি, নির্বাচনও হয়নি। সরকারের পছন্দের লোকেরাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য হন।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিং কিউ রোয়াজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে আসা এক ফ্যাক্সের মাধ্যমে আমি চেয়ারম্যান হয়েছিলাম, আবার আরেক ফ্যাক্সে আমাকে পদ হারাতে হয়েছিল।’
জেলা পরিষদে অনির্বাচিত প্রতিনিধি থাকলেও সেখানে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী অন্তত পাহাড়িদের প্রতিনিধিত্ব আছে। কিন্তু স্থানীয় সরকারের অন্য নানা স্তরে পাহাড়ি মানুষের অংশগ্রহণ কমছে। যেমন তিন পার্বত্য জেলায় ২৬টি উপজেলা রয়েছে। এর মধ্যে ১২টিতেই বাঙালি চেয়ারম্যান। পার্বত্য তিন জেলার ছয় পৌরসভার সব কটিতেই মেয়র বাঙালি। ২০০২ সাল পর্যন্ত পাহাড়ি জাতিসত্তার একাধিক ব্যক্তি রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র হয়েছেন। এরপর থেকে আর কেউ মেয়র হননি।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ সালাহউদ্দিন এম আমিনুজ্জামান বলেন, ‘শহরে বসবাসের কিছু বিমূর্ত শর্ত থাকে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা যুক্ত। এসব শর্ত হয়তো পাহাড়িরা পূরণ করতে পারছেন না। তাই তাঁরা শহরের বাসিন্দা হতে পারছেন না, তাঁদের প্রতিনিধিত্বও থাকছে না। পার্বত্যবাসীর স্বশাসনের অধিকারের জন্য তা সুখকর নয়।’ তিনি বলেন, পাহাড়িদের অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকার দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে।
পাহাড়ের অর্থনীতির একটি বড় অনুষঙ্গ পর্যটন। কিন্তু এ ব্যবসায় পাহাড়িদের হিস্যা অনেক কম। রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো পর্যটকদের কাছে একটি বড় আকর্ষণ। ছোট–বড় মিলিয়ে এই লেকে প্রায় এক হাজার যন্ত্রচালিত নৌকা আছে। রাঙামাটির ট্যুরিস্ট বোট মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. রমজান আলীর তথ্যমতে, এখানকার প্রায় ৮০ শতাংশ নৌকার মালিক বাঙালি।
রাঙামাটির সঙ্গে একাধিক উপজেলার যোগাযোগব্যবস্থা নৌপথে। এসব রুটে মোট ৫৪টি লঞ্চ আছে বলে জানান লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন। তিনি বলেন, এসব লঞ্চের মধ্য মাত্র দুটি পাহাড়িদের।
একসময় পাহাড়ি ছাত্রনেতা, উন্নয়নকর্মী পলাশ খীসা বলছিলেন, ব্যবসা করতে পুঁজি ও ঝুঁকি দুটিই লাগে। পাহাড়িদের পুঁজি নেই। আবার যাঁদের পুঁজি আছে, তাঁরাও ঝুঁকি নিতে চান না। কারণ, ঝুঁকি নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
পাহাড়ে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে স্থানীয় প্রশাসনে পাহাড়িদের নিয়োগের কথা চুক্তিতে বলা আছে। চুক্তি অনুযায়ী, জেলা পরিষদে উপসচিব সমতুল্য একজন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা থাকবেন। এ পদে পাহাড়ি কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা। কিন্তু গত ২৫ বছরে কোনো জেলা পরিষদে তা করা হয়নি।
চুক্তি অনুযায়ী, ৩৩ খাতের ৪৫টি দপ্তর জেলা পরিষদের কাছে ন্যস্ত করার কথা। এর মধ্যে ৩০টি দপ্তর ন্যস্ত হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের মূল বিষয় ভূমি, বন ও পুলিশের দপ্তর এখনো ন্যস্ত হয়নি।
চুক্তির মৌলিক শর্তগুলো পূরণে ‘কিছুটা ধীরগতি’ আছে—এটি মানেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং। তবে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি আছে। রাজনীতি ও অর্থনীতিতে পাহাড়িরা আগের চেয়ে এখন সক্রিয়।
অধরা ভূমি, সংঘাত বন্ধ হয়নি
পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই দশকের সংঘাতের সময় বিপুলসংখ্যক পাহাড়ি বাস্তুচ্যুত হন। আবার সেই সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েক লাখ বাঙালিকে পার্বত্য এলাকায় পুনর্বাসন করা হয়। এ দুই ঘটনা ভূমি সমস্যাকে প্রকট করে তোলে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ‘ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন’ গঠিত হয়েছে। সেখানে প্রায় ২২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। আজ পর্যন্ত একটি বিরোধও নিষ্পত্তি হয়নি।
ভূমির মতো আরেক অমীমাংসিত বিষয় পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলোর সংঘাত। চুক্তির বিরোধিতা করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নামের একটি দল গড়ে ওঠে। তাদের সঙ্গে সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী জেএসএসের সংঘাতে এ পর্যন্ত কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছে।
এরপর ২০০৭ সালে জেএসএস ভেঙে জেএসএস (লারমা) এবং ২০১৭ সালে ইউপিডিএফ ভেঙে তৈরি হয় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক দল)। পাহাড়ে এখনো এসব দলের সংঘাত চলছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মনে করেন, অধিকারের দাবিতে পাহাড়ের মানুষ যাতে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে, সে জন্য বাইরের শক্তি এসব সংঘাত জিইয়ে রাখে। এতে রাষ্ট্রের সম্মতি থাকে।
মিজানুর রহমান বলছিলেন, প্রতিবছর চুক্তির বর্ষপূর্তি এলে কয়টা ধারা বাস্তবায়িত হলো, কয়টি হলো না, তা নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়। ভূমি ও সত্যিকারের স্বশাসনের কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। এটা পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া অন্য কিছু নয়।