১৭ টাকা পাওনা নিয়ে বিতণ্ডার জেরে যুবক খুন

চট্টগ্রাম জেলার মানচিত্র

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিতণ্ডার জেরে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর নাম মোহাম্মদুল হক (৩৩)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের মিঠার দোকান এলাকায় ছুরিকাঘাতের এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মোহাম্মদুল হক ছদাহা ইউনিয়নের আজিমপুরের দেওয়ান আলী সিকদারপাড়া এলাকার বদিউল আলমের ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন এবং পশুখাদ্য তৈরির একটি কারখানায়ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর ছয় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত যুবকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকালে ছদাহার আজিমপুর এলাকায় ফেরদৌস নামের এক ব্যক্তির চায়ের দোকানে চা-নাশতা খান মোহাম্মদুল। দোকানিকে চা-নাশতার ১৭ টাকা পরে দেবেন বলে জানান তিনি। এ সময় দোকানির ছেলে রায়হান টাকা বাকি রাখা যাবে না বলে মোহাম্মদুলকে জানালে বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।

পরে আজ বেলা দুইটার দিকে মিঠার দোকান এলাকায় আগের দিনের ঘটনার জেরে দোকানির ছেলে রায়হান ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে মোহাম্মদুল হক ও তাঁর ভাই জিয়াবুলের বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে রায়হানের সঙ্গে থাকা তরুণেরা মোহাম্মদুল হককে ছুরিকাঘাত করেন। আহত অবস্থায় মোহাম্মদুল হককে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক মোহাম্মদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মোহাম্মদুল হকের বাবা বদিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলেটি মাত্র ১৭ টাকা বাকিতে চা-নাশতা খেয়েছিল। বিকেলে গিয়ে ওই টাকা পরিশোধও করেছে। তারপরও চায়ের দোকানির ছেলে ও তার বন্ধুরা আমার ছেলেটিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। তারা আমার আরেক ছেলে জিয়াবুলকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। যারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি। সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মাত্র ১৭ টাকা পাওনা নিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে চায়ের দোকানির ছেলের সঙ্গে নিহত যুবক মোহাম্মদুল হকের হাতাহাতি হয়েছিল। এর জের ধরে আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদুল হক নিহত হয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। এরপরও ঘটনার সঙ্গে জড়িত তরুণদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।