ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দিল্লির হাইকমিশনারের সঙ্গে বসলেন দুই উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহফাইল ছবি

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত প্রায় ৪৫ মিনিটের ওই আলোচনায় তাঁদের সঙ্গে একপর্যায়ে যুক্ত হয়েছিলেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।

পরে বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয় থেকে বের হওয়ার সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সময় সময় আমাদের রাষ্ট্রদূতদের আলোচনার জন্য ডেকে আনি। এটা খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’

দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ফেরত আনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাঁকে (হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ) ফেরত আনিনি।’

প্রসঙ্গত, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে জরুরি ভিত্তিতে গত সোমবার দুপুরে ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়। সেই বার্তা পেয়ে সোমবার রাতেই ঢাকায় আসেন রিয়াজ হামিদুল্লাহ। এরই অংশ হিসেবে তিনি মঙ্গলবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পাশাপাশি পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলেছেন। সেখানকার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে দুই উপদেষ্টা তাঁর কাছে নানা বিষয় জানতে চেয়েছেন।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের বিভিন্ন মহল। এর জের ধরে ভারতে বাংলাদেশের মিশনগুলো ঘিরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করছিল। নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দিল্লি, আগরতলা ও মুম্বাই মিশনে ভিসা সেবা বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। পরে মুম্বাই মিশনের ভিসা সেবা পুনরায় চালু করা হয়েছে। এরই মধ্যে ২৩ ডিসেম্বর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই দেশের হাইকমিশনারদের পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনাও ঘটে।

এর মধ্যে গত শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে ‘২৯০০ সহিংসতার’ অভিযোগ তোলেন। এরপর গত রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে জয়সোয়ালের মন্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেন। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।