রাষ্ট্রপতির এপিএসের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তদন্ত হবে

রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের (বাঁয়ে) সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের বরখাস্ত এডিসি হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় নিয়ে মারধর করা হয়

ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় নিয়ে মারধরের ঘটনায় রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে স্টোরেজ ডিপো উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুলের বিষয়ে তদন্ত হবে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবই তদন্তে আসবে। কোনোটিই বাদ যাবে না। যেই ঘটনার সঙ্গে সংযুক্ত হবে, সম্পৃক্ত হবে কিংবা ঘটনার সঙ্গে মানে কোনো অংশে জড়িত থাকবে। সব বিষয়ই তদন্ত হবে। আইন সবার জন্যই সমান। তিনি পুলিশ হোক, জনপ্রতিনিধি হোক কিংবা সরকারি কর্মকর্তা হোক, সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং আইন সবার জন্য সমান।’

রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের বরখাস্ত অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে থানায় নিয়ে মারধর করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহবাগ থানায় ওসির (তদন্ত) কক্ষে এই মারধরে নেতৃত্ব দেন এডিসি হারুন। তবে ঘটনার সূত্রপাত হয় বারডেম হাসপাতালে। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে মারধর ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে আজিজুল হকের স্ত্রী ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন বলেন, তিনি চিকিৎসা নিতে ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতে তিনি সহকর্মী হিসেবে এডিসি হারুন অর রশিদের সহায়তা নেন। এ সময় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে এসে এডিসি হারুনকে মারধর করেন তাঁর স্বামী আজিজুল।

এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আজিজুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর ডিএমপি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন