নারায়ণগঞ্জে দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে মো. সোহেল (২০) নামের একজনের মৃত্যু হয়। সকালের দিকে মারা যায় শিশু মো. ইসমাইল (১১)। দুজনই শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে সোহেল ও ইসমাইলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। সোহেলের শরীরের ৭০ শতাংশ এবং ইসমাইলের শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি বাসায় আগুন লেগে সোহেল, ইসমাইলসহ ছয়জন অগ্নিদগ্ধ হন। দগ্ধ অপর চারজন হলেন গৃহকর্তা মোহাম্মদ বাবুল (৪০), তাঁর স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৩৫), বাবুলের স্বজন মুন্নি খাতুন (১৮) ও তাসলিমা খাতুন (৯)। সোহেল ও ইসমাইলও বাবুলের স্বজন। স্থানীয়রা বলেছেন, শিশু ইসমাইল ও তাসলিমা ছাড়া অপর চারজনের সবাই পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
বাবুলদের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গত শনিবার স্থানীয় বাসিন্দা তারিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে হঠাৎ অগ্নিদগ্ধ হন বাবুল, তাঁর স্ত্রীসহ অন্যরা। মশার কয়েল ধরানোর সময় আগুন লাগে বলে তাঁর ধারণা। তখন তাঁদের উদ্ধার করে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান।
তারিকুল ইসলাম আরও বলেন, অগ্নিদগ্ধ হওয়ার সময় সবাই বাসায় ছিলেন। বাসায় গ্যাসের কোনো সংযোগ ছিল না। তাঁরা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে রান্নাবান্না করতেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, অগ্নিদগ্ধ গৃহকর্তা বাবুলের শরীরের ৬৬ শতাংশ, তাঁর স্ত্রীর ৩০ শতাংশ, মুন্নির ২০ শতাংশ এবং তাসলিমার ৬৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধ রোগীদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নন বলেও জানান তিনি।