৩০ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন অপহরণকারীরা

শিশু মো. হৃদয়কে কৌশলে রিকশায় নিয়ে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

চট্টগ্রাম থেকে অপহরণের ১৪ দিন পর তিন বছর বয়সী শিশু মো. হৃদয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগরের ভিন্ন স্থান ও ফেনীর দাগনভূঁঞা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ২৫ জানুয়ারি নগরের ইপিজেড থানার রেলবিট সাইক্লোন স্কুলসংলগ্ন এলাকা থেকে তিন বছরের শিশু মো. হৃদয়কে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর বাবা রবিউল আলম বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সুমী শীল, লাকী বেগম, মো. আকিব, বেলাল হোসেন, হাবিবুর রহমান ও রোজিনা আক্তার।

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অপহরণকারী সুমী, লাকী ও আকিবকে শনাক্ত করা হয়। নগরের পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম ও ফেনী থেকে ৬ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ
ছবি: সংগৃহীত

জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, শিশুটিকে ফেনীর দাগনভূঞা এলাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে বেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেলাল জানান, শিশুটিকে একই এলাকার হাবিবুর রহমানের কাছে দিয়েছেন। কিন্তু হাবিবুর জানান, শিশুটিকে রোজিনা আক্তার নামের এক নারীর কাছে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে শিশুটিকে ওই নারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইপিজেড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রানা প্রতাপ বণিক প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা শিশু অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তাঁরা রাস্তায় কিংবা বাসাবাড়ির সামনে থাকা শিশুদের কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে বিক্রি করে দেন। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে সুমী ও লাকী বৃহস্পতিবার আদালতে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অপহৃত শিশুকে ফিরে পেয়ে খুশি তার পরিবার। শিশুটির মা পলি আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বুকের ধনকে হারিয়ে এই কদিন কীভাবে ছিলাম, বলে বোঝাতে পারব না।’