ছায়ানটে দুই দিনের রবীন্দ্র-উৎসব শুরু

‘প্রথম যুগের উদয় দিগঙ্গনে’ নৃত্যগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনেছবি: ছায়ানটের সৌজন্যে

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র ছায়ানটের দুই দিনের রবীন্দ্র–উৎসব শুরু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে শুরু হয় প্রথম দিনের আয়োজন।

‘প্রথম যুগের উদয় দিগঙ্গনে’ নৃত্যগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। ছায়ানটের বড়দের দলের শিল্পীদের এই পরিবেশনার পরই নেপথ্য থেকে ভেসে আসে কথন ‘রবীন্দ্রনাথ আমাদের আনন্দধারা, আমাদের সংকটের ভরসা, রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রাণে আগুনের পরশমণি স্পর্শ করিয়েছেন’।

এরপর হয় শিল্পী ইফফাত বিনতে নাজিরের কণ্ঠে ‘তুমি একলা ঘরে বসে বসে’ গানের পরিবেশনা। এরপর ‘কখনো চক্ষে আমার তৃষ্ণা ওগো, কখনো আমি যখন ছিলেম ছিলেম অন্ধ’ অথবা ‘তুমি বাহির থেকে দিলে বিষম তাড়া’র মতো ১৯টি একক পরিবেশনা। লিলি ইসলাম, সাজেদ আকবর, অসীম দত্ত, সেমন্তী মঞ্জরী, দীপ্র নিশান্তরের মতো আরও অনেক শিল্পী পরিবেশন করেন একক সংগীত।

অনুষ্ঠানে ছিল বাউল উপপর্যায়ের গান নিয়ে গীতি–আলেখ্য ‘তাঁরেই খুঁজে বেড়াই’। সম্মেলক সংগীতে ছিল ‘কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে’ ও ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে’সহ পাঁচটির বেশি সংগীত। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে ছায়ানটের বড়দের দলের সম্মেলক নৃত্যগীতে ছিল ‘ভুবনজোড়া আসনখানি’ আর ‘অরূপ তোমার বাণী’। ছিল জহিরুল হক খানের কণ্ঠে একক আবৃত্তি।

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ছায়ানটের দুই দিনের উৎসবের প্রথম দিনের আয়োজন ছিল দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের আয়োজন।