নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুলের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ ডলার পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু
বাণিজ্যের আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ লাখ ডলার পাচারের অভিযোগে নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ বুধবার সংস্থাটির গণমাধ্যম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, নজরুল ইসলাম মজুমদার বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া প্রায় দেড় দশক ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ৫ আগস্টের পর তাঁকে এ দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।
সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাসা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ফিরোজা গার্মেন্টস লিমিটেড ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ১৩০টি এলসি বা বিক্রয় চুক্তি গ্রহণ করে। কিন্তু এর বিপরীতে নাসা গ্রুপ পণ্য পাঠালেও এর রপ্তানি মূল্য প্রায় ৩০ লাখ ডলার বাংলাদেশে না এনে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে তথ্য–প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচারে করে লন্ডনের ফিলিমোর গার্ডেন ও ব্রান্সউইক গার্ডেনে তাঁর মেয়ে আনিকা ইসলামের নামে বাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নজরুল ইসলাম মজুমদার নাসা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বন্ড সুবিধার আওতায় বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল এনে তা খোলাবাজারে বিক্রি করে শত শত কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নাসা গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট চারটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে আমদানি ও রপ্তানির আড়ালে (আন্ডার ইনভয়েসিং এবং ওভার ইনভয়েসিং) দুবাই, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম, সিআইডিতে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে।