ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় হওয়া একাধিক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৪৫)। তিনি সোনাগাজী উপজেলার ওসমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বগাদানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। অপর দুজন আজাদুল ইসলাম (৪০) ও আবদুর রহিম (২৬)। গ্রেপ্তার আজাদুল দাগনভূঞার সিন্দুরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তিনি ওই ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের মন্তু মিয়ার ছেলে। রহিম কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতি ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে। তিনি শহরের ডিডি ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব সহকারী ও ছাত্রলীগ কর্মী।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা একাধিক মামলায় গিয়াস উদ্দিনকে শহরের পেট্রোবাংলা এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মডেল থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলা রয়েছে। বাকি দুজনও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় ১৫টি মামলা হয়েছে; এর মধ্যে ৮টি হত্যা, ৭টি হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে।