সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ, ফেরত দিয়েছেন কূটনৈতিক পাসপোর্ট

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। আজ বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন। একই সঙ্গে কূটনৈতিক পাসপোর্টও ফেরত দিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আসিফ মাহমুদ।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দিতে গত বছর অক্টোবরে একটি নীতিমালা জারি করে সরকার। ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা, ২০২৪’–এ বলা হয়, উপদেষ্টাদের স্ত্রী বা স্বামীর পৃথক আয় থাকলে তার বিবরণীও জমা দিতে হবে। এ বিষয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা আসিফ মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আজ বুধবার তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রায় আধা ঘণ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে তাঁর সময়ে নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। এরপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এক বছরের বেশি সময়ের অভিজ্ঞতার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক কথা বলা যায় না। আসলে এ ধরনের পর্যায়ে কাজ করতে গেলে নানা ধরনের জটিলতা হয়। বিগত ২৫ বছরে যা শিখেছি, দায়িত্ব নেওয়ার পরের দেড় বছরে তার চেয়ে বেশি শিখেছি।’

আরও পড়ুন
আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে
ছবি: লাইভ ভিডিও থেকে নেওয়া

উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকার সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রথম আলোর প্রথম পাতায় আমার এলাকার একটি প্রকল্পের বিষয়ে প্রতিবেদন করেছে। আমরা জানি না তাঁরা কিসের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন করেছে। প্রকল্পটি পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রতিবেদন করা কতটা ঠিক হয়েছে। এ প্রকল্প একনেকে পাস হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আর একনেক সভা হবে না। তাই প্রকল্পটি আর পাস হবে না।’

নিজের সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি দুদককে অনুরোধ করে জানিয়েছি এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য। যখন এ বিষয়ে অভিযোগ আসে, আমার আত্মবিশ্বাস ছিল, আমি কাউকে কিছু করার সুযোগ দিইনি। সে কারণে দুদককে অধিকতর তদন্তের জন্য অনুরোধ করি। এখন সেটি দুদকের এখতিয়ার। তারা হালনাগাদ তথ্য জানাতে পারবে।’

আরও পড়ুন

আরেক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেক সংবাদমাধ্যম বাক্‌স্বাধীনতার অপপ্রয়োগ করেছে। বাক–স্বাধীনতা থাকবে। তবে এর প্রকৃত ব্যবহার সবাই নিশ্চিত করবে।

আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে কোন দল থেকে নির্বাচন করবেন, সংবাদ সম্মেলনে সেটি পরিষ্কার করেননি। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।