বরিশাল-৪ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াসহ প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে এবার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আগামী ২ জানুয়ারি শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেও বিফল হন শাম্মী আহমেদ। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে গিয়ে ১৯ ডিসেম্বর ‘নো অর্ডার’ পান তিনি। ফলে শাম্মী আহমেদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া আটকে যায়।
এ অবস্থায় প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াসহ প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে আপিল বিভাগে আবার আবেদন করেন শাম্মী আহমেদ। ওই আবেদন ২১ ডিসেম্বর চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আগামী ২ জানুয়ারি শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
এরপর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াসহ প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে লিভ টু আপিল করেন শাম্মী আহমেদ, যা আজ চেম্বার আদালতে ওঠে। আদালতে শাম্মী আহমেদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও শাহ মঞ্জুরুল হক।
পরে শাম্মী আহমেদের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে হাইকোর্টের আদেশের প্রত্যয়িত অনুলিপি পেয়েছি। অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস থেকে তাঁর নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুরের তথ্যও ইতিমধ্যে হাতে এসেছে। দূতাবাসে গত ২৭ নভেম্বর আবেদনটি করা হয়েছিল। আবেদনটি ২২ ডিসেম্বর অনুমোদিত হয়েছে। অনুমোদনের বিষয়টি দূতাবাস ও দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন করার দিন অর্থাৎ ২৭ তারিখ থেকেই এটি কার্যকর হবে। এ কারণে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াসহ শাম্মী আহমেদকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশনা চেয়ে আবেদনটি করা হয়। যেহেতু এর আগে করা আবেদনটি শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি দিন রাখা হয়েছে, তাই একসঙ্গে দুটি আবেদন সেদিন শুনানির জন্য রেখেছেন আদালত।’