উৎসবে মুখর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো আঞ্চলিক গণিত উৎসবে অতিথিদের সঙ্গে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকেলে বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে
ছবি: সোয়েল রানা

বগুড়া জিলা স্কুল মাঠ। আঞ্চলিক গণিত উৎসবের আয়োজন শুরু হবে সকাল নয়টায়। তবে কনকনে শীত উপেক্ষা করে সকাল সাতটা থেকেই সেখানে শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করে। তাদের সঙ্গে আসেন অভিভাবকেরাও। সকাল আটটার মধ্যেই বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে ওঠে বগুড়া ছাড়াও জয়পুরহাট ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের পদচারণে।

গতকাল শনিবার বগুড়া জিলা স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসবের বগুড়া পর্ব। উৎসবে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামাপদ মুস্তাফী এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক বজলুল করিম বাহার, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিলুফা ইয়াসমিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রশীদ। আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বগুড়া ও পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা।

সকাল সোয়া ১০টা থেকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে গণিতের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার পর হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নৃত্য পরিবেশন করেন আমরা কজন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা। বগুড়ার ব্যান্ড বি বয়েজ গান পরিবেশন করে।

গণিত উৎসবে গতকাল ফেনী সরকারি কলেজ মাঠে শিক্ষার্থীরা
প্রথম আলো

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর গণিত বিষয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে নানা প্রশ্নের জবাব দেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের গণিত বিভাগের অধ্যাপক মাহতাব হোসেন মণ্ডল, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মুগ্ধ তানজীম মির্জা, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক জিয়াউল ইসলাম, বগুড়ার পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাফুজুল ইসলাম, বগুড়া জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক শাহজাহান আলী প্রমুখ। সমাপনী পর্বে বগুড়ার আর্মড পুলিশ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শোয়েব শাহরিয়ার, পুলিশ লাইনস স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম, প্রথম আলো বগুড়া বন্ধুসভার সভাপতি সামির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আঞ্চলিক গণিত উৎসবে বিজয়ী হয় ৪০ জন।

ফেনীর উৎসব

গতকাল ফেনী সরকারি কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ফেনীর আঞ্চলিক গণিত উৎসব। উৎসবে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ির শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩০ শিক্ষার্থী বিজয়ী হয়। তাদের টি-শার্ট, সনদ ও পদক দেওয়া হয়।

সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। উৎসবে জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন; ফেনী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফাহমিদা হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জয়নাল হাজারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল হালিম ও প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের।

সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। গণিত নিয়ে শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন, ফেনী সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান মো.আফতাব উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, উদ্ভিদ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোশারফ হোসেন, আহম্মদ আলী, প্রভাষক মো. দিদোয়ানুল কবির, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জয়শ্রী দাস, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মিনহাজ হোসাইন, প্রভাষক রাজীব কর্মকার।