বুয়েট ‘সন্ত্রাসের’ ছাত্ররাজনীতি ফেরার আশঙ্কা প্রবাসী পেশাজীবী-গবেষকদের

বুয়েট

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ‘সন্ত্রাসের’ ছাত্ররাজনীতি ফিরে আসার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিদেশে অবস্থানরত ৩৭ জন পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, গবেষক ও শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার তাঁদের পক্ষে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া আরভাইনের পিএইচডি ফেলো খন্দকার রাকীব।

বুয়েটে ‘ত্রাসের রাজত্ব’ ফিরিয়ে আনা বন্ধ, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা এবং সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

বুয়েটে ‘সন্ত্রাস’ ফিরিয়ে আনার পটভূমি তৈরি করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, বুয়েট ক্যাম্পাসে দীর্ঘ দিনের অবাধ ‘ত্রাসের রাজত্বের’ ফল হিসেবে ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতির মোড়কে সন্ত্রাসের কালো ছায়া থেকে মুক্ত হয় বুয়েট ক্যাম্পাস। এই প্রতিষ্ঠানে পুনরায় ‘সন্ত্রাস’ ফিরিয়ে আনার পটভূমি তৈরি করা হচ্ছে।

‘ত্রাসের রাজত্বকালীন’ বুয়েটে ক্ষমতাসীন দলের আশীর্বাদপুষ্ট একটি বিশেষ গোষ্ঠী ছাত্ররাজনীতির মোড়কে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোবদ্ধ সন্ত্রাস-নিপীড়ন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হানিওয়েল অ্যারোস্পেসের জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার সারোয়ার হোসেন, পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টরাল গবেষক মাহমুদুল হাসান, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, কাতারের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হাসান মাহমুদ, ডেনমার্কের অরহুস বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহাম্মাদ এহসানুল হক, যুক্তরাজ্যের সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের বিল্লাল হুসাইন, জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাইটিং কোচ মীর হাসান, জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক শাহরিয়ার কামাল প্রমুখ।