মানিকগঞ্জে মদপানে মামা ও ভাগনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

মানিকগঞ্জের সদর উপজেলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেশি মদপান করার পর অসুস্থ হয়ে মামা–ভাগনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে গত শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে তাঁরা মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

নিহত দুজন হলেন গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার সতীশ সরকারের ছেলে দীপু সরকার (২৯) ও হরিরামপুর উপজেলার দাসকান্দি বয়ড়া গ্রামের মৃত প্রকাশ সরকারের ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার (২২)। দীপু ও প্রসেনজিৎ সম্পর্কে মামা-ভাগনে। দীপুর বড় বোনের ছেলে প্রসেনজিৎ।

হরিরামপুর ও সদর থানা-পুলিশ এবং এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে মামাতো বোনের বিয়েতে যান দীপু সরকার। শুক্রবার মধ্যরাতে সেখানে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে দীপু, প্রসেনজিৎসহ কয়েকজন যুবক দেশি মদপান করেন। পরে গতকাল সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন দীপু ও প্রসেনজিৎ। গতকাল সন্ধ্যায় প্রসেনজিৎকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে রাত আটটার দিকে স্বজনেরা প্রসেনজিৎকে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে গতকাল রাত নয়টার দিকে দীপুকে মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দীপু সরকারের মামাতো ভাই সঞ্জয় বৈরাগী বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে তাঁর বোনের বিয়ে উপলক্ষে তাঁদের বাড়িতে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় দীপু, প্রসেনজিৎসহ আরও কয়েকজন দেশি মদ পান করেন। পরদিন শনিবার সকালে দীপু ও প্রসেনজিৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাতে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল দিবাগত রাতে দীপুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

হরিরামপুর থানার পরিদর্শক মজিবুর রহমান বলেন, বিয়ে উপলক্ষে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে দেশি মদপান করে মামা ও ভাগনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গাজীপুর থেকে মদ আনা হয়। পরে গতকাল রাতে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁদের মৃত্যু হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিল উদ্দিন বলেন, বিষক্রিয়ায় ওই দুজনের মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আজ জেলা সদর হাসপাতালে মৃত প্রসেনজিতের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার পুলিশকে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।