ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, মৃত্যু ৫ জনের
শেষ অক্টোবরের বৃষ্টি যে ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। বৃষ্টি হয়েছে গতকাল শনিবার, নভেম্বরের প্রথম দিনেও। আর আজ এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১৬২ জন। এটি চলতি বছরে এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর ১ দিনে ১ হাজার ১৪৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সকাল আটটা থেকে আজ রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ২৮৩ জনের। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জনে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ সিটির হাসপাতালে ৩ জন এবং ১ জন করে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ঢাকা উত্তর সিটি ও রাজশাহী বিভাগের হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছেন ২৬১ জন। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৭৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৫৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৯৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সদ্য শেষ হওয়া অক্টোবর মাসে দেশের ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়। গত মাসে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮০ জন আর আক্রান্ত হয়েছিলেন ২২ হাজার ৫২০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের হিসাব অনুযায়ী দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩টিতেই এ বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। ২০০০ সালে ঢাকায় বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে মারা যান ৯৩ জন। ঘটনাটি সাধারণ মানুষের কাছে নতুন ছিল। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ও মারা যান ২০২৩ সালে। সে বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখের বেশি মানুষ। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।