করোনাকালের ব্যয় সংসদে জানাতে চান না স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
ফাইল ছবি

করোনাকালে টিকাসহ বিভিন্ন সেবা দিতে সরকারের মোট কত ব্যয় হয়েছে, তা জানাতে চান না স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মমতা হেনা জানতে চেয়েছিলেন, করোনাকালে ‘জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভ্যাকসিনসহ নানাবিধ সেবা’ দিতে মোট ব্যয়ের পরিমাণ কত? এর লিখিত জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স হতে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের মতামত এবং অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে ভ্যাকসিন ক্রয় করা হয়েছে। উল্লেখ্য, নন-ক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ভ্যাকসিন ক্রয় করায় মহান জাতীয় সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।’

এর আগেও করোনা টিকা ও চিকিৎসা ব্যয়–সংক্রান্ত প্রশ্নে একই জবাব একাধিকবার দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল বিকেলে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে ৯ হাজার ৭০৮ জন এইডস রোগী রয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন ৬ হাজার ৭৫ জন এবং মারা গেছে ১ হাজার ৮২০ জন।

সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদিত হয়। বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৫৭টি দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ওষুধ রপ্তানি হয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুন-আগস্ট পর্যন্ত ২ হাজার ২৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫৮ টাকার ওষুধ রপ্তানি হয়েছে।

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যান।