সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য হুমকি হতে পারে: ব্লাস্ট ও টিজিআই

প্রতীকী ছবি

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ নিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট (টিজিআই) বলেছে, অধ্যাদেশে থাকা কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষমতার কারণে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

সংস্থা দুটি মনে করছে, এ অধ্যাদেশ অনলাইনে ক্ষতিকর কনটেন্ট প্রতিরোধে ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও এতে অস্পষ্টতা থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহারের ঝুঁকি থেকে গেছে। মঙ্গলবার এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন আশঙ্কার কথা জানায় সংস্থা দুটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধ্যাদেশের অধীনে গঠিত জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে ‘রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ক্ষুণ্ণ’ করার মতো অস্পষ্ট অভিযোগে কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদে স্বীকৃত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

একই সঙ্গে প্রস্তাবিত জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে সরকারি ও নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নজরদারির ঝুঁকি তৈরি হবে বলেও সংস্থা দুটি মনে করছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অধ্যাদেশে হ্যাকিং বা সাইবার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশি, জব্দ এবং গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা অনুমোদন করায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা থেকে গেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্লাস্ট এবং টিজিআই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, নতুন অধ্যাদেশে ক্ষতিকর কনটেন্ট সম্পর্কিত যে অপরাধগুলো যুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর সংজ্ঞা যথেষ্ট স্পষ্ট নয়। ফলে আইনটি ব্যক্তিভেদে ভিন্নভাবে প্রয়োগ হতে পারে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে নাগরিকের মতপ্রকাশ–সংক্রান্ত অধিকার সুরক্ষিত রাখার দাবি জানিয়েছে সংস্থা দুটি।