বাংলাদেশ–ভারত ট্রানজিট চুক্তির আওতায় চতুর্থ চালান নিয়ে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পৌঁছেছে জাহাজ এমভি ট্রান্স সামুদেরা। কলকাতার শ্যামপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে আসা বাংলাদেশি এ জাহাজে ১২৩ একক কনটেইনার পণ্য আছে। এর মধ্যে এক এককে আছে ২৫ টন রড।
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পরে এই চালানটি সড়কপথে সিলেটের শ্যাওলা স্থলবন্দর হয়ে ভারতের আসামে নেওয়া হবে। একই জাহাজে ভারতের মেঘালয় থেকে সিলেটের স্থলবন্দর হয়ে আনা চা–পাতার আরেকটি চালান কলকাতায় নেওয়ার কথা। এই দুটি চালানের মাধ্যমে পাঁচটি রুটে ট্রানজিট পণ্য আনা–নেওয়া শেষ হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজটি বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে। প্রক্রিয়াগত কাজ শেষে জাহাজটি থেকে পণ্য খালাস শুরু হবে।
মূল ভূখণ্ড থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ বেশি লাগে। এ জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ও ভারত ট্রানজিট চুক্তি করে। এর আওতায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য আনা–নেওয়া যাবে। এ ছাড়া পরিচালন পদ্ধতির মান বা এসওপি সই হয়েছে ২০১৯ সালে।
এই চুক্তির আওতায় ২০২০ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে প্রথম চালান আনা–নেওয়া হয়। দীর্ঘ বিরতির পর গত আগস্টে মোংলা বন্দর ব্যবহার করে দুটি চালান আনা–নেওয়া হয়। এখন সর্বশেষ পরীক্ষামূলক দুটি চালান আনা–নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, পরীক্ষামূলক এসব চালান পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তা সমাধান করা হবে। এরপরে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের ট্রানজিট পণ্যের আনুষ্ঠানিক চলাচল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।