সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ইউনুছ
আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ চট্টগ্রামের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছ বর্তমান চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষের স্থলাভিষিক্ত হবেন। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষের মেয়াদ আজ শেষ হয়েছে। তিনি দুই দফায় পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন সর্বশেষ ও দ্বিতীয় দফায় ২০২১ সালে তাঁকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।
এদিকে মোহাম্মদ ইউনুছকে সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা হতে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮–এর ধারা-৭ অনুযায়ী মোহাম্মদ ইউনুছকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে এ অফিস আদেশ জারি করা হলো।
নিয়োগের প্রজ্ঞাপন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়েছি। চট্টগ্রামবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আগামী শুক্রবার চট্টগ্রামে এসে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।’
সিডিএর সচিব মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সিডিএর বর্তমান চেয়ারম্যানের মেয়াদ আজ বুধবার শেষ হয়েছে৷ নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। নতুন চেয়ারম্যান আগামীকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে যোগ দেবেন।
নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষকে প্রথম দফায় ২০১৯ সালে দুই বছরের জন্য এবং ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এর আগে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামকে ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল দুই বছরের জন্য চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। এরপর আরও পাঁচ দফায় তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোট ছয় দফায় সব মিলিয়ে ১০ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। শেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আবদুচ ছালাম।