নববর্ষ নিয়ে অপপ্রচারকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে

বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভা হয়ছবি: সংগৃহীত

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশে যেসব অনুষ্ঠান হবে, তা সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করতে হবে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে।

বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগ স্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে। দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকেরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। বাংলা একাডেমি ও বিসিক থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে। নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। নববর্ষ উদ্‌যাপনকালে ঢাকা ও সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম ও মেডিকেল টিম থাকবে। বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভ টিজিং, ছিনতাই-পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। নববর্ষে দেশের কারাগারগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে। কোনো ধরনের ফানুস বা আতশবাজি পোড়ানো যাবে না। বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।