ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যান

>দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও নির্মাণের অল্প দিনের মধ্যেই পিচ–খোয়া উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। কোথাও সড়ক ধসে পড়েছে। এসব সড়ক নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন
বগুড়া–জয়পু​রহাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে পানি জমে আছে। ছবিটি সম্প্রতি বগুড়া শহরের ধরমপুর এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো
বগুড়া–জয়পু​রহাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে পানি জমে আছে। ছবিটি সম্প্রতি বগুড়া শহরের ধরমপুর এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো

বগুড়া-জয়পুরহাট সড়কের বগুড়ায় প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ অংশে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টেম্পো, ইজিবাইকের মতো হালকা যান চলাচল করছে বিকল্প সড়ক দিয়ে। যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
বগুড়া থেকে জয়পুরহাট শহর পর্যন্ত সড়কটি প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে বগুড়া শহরের নামাজগড় থেকে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার চরবাখড়া সেতু পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার অংশ দেখভাল করে বগুড়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। এর মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলার ১০ কিলোমিটারের অবস্থা খুবই খারাপ।
সওজ কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ, কাহালুর কিছু অংশ এবং জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর উপজেলার লোকজন এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কটি প্রায় দেড় যুগ ধরে বেহাল। দুই-এক বছর পরপর সংস্কার হয়, বছর না ঘুরতেই আবার নষ্ট হয়ে যায়। এ পথে যাতায়াত করতে তাঁদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়ার নামাজগড় থেকে বারপুর পর্যন্ত শহরের অংশের ধরমপুর বাজার এলাকায় প্রায় আধা কিলোমিটারে বড় বড় গর্ত রয়েছে। নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি নিয়ে এসব গর্ত পার হচ্ছে যাত্রীবাহী বাস।
উপজেলা সদরের বারপুর মোড় থেকে বিমানবাহিনীর রাডার স্টেশনের উত্তর ফটক পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশের কার্পেটিং ও ইট-সুরকি উঠে গেছে। সবচেয়ে বেশি বেহাল হয়ে পড়েছে হরিপুর বাজার থেকে নামুজা বাজার পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার অংশ। এ অংশের ল্যাংড়াবাজার, ঘোড়াধাপ, মরাকাটা কুঁকরুল, টেংরাবাজার হয়ে নামুজা বন্দর পর্যন্ত সড়কের শতাধিক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে নামুজা খাদ্যগুদামের সামনে গর্তের কারণে যান চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত ছয় মাসে এখানে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব থেকে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মোলামগাড়ি বাজার পর্যন্ত অটোরিকশাসহ হালকা যানবাহন বিহার সড়ক হয়ে বিকল্প পথে চলাচল করছে।
সাদ্দাম হোসেন নামের এক বাসচালক বলেন, ‘এ সড়কে বাস লিয়ে আসলেই বুকটা ধড়ফড় করে। কখন বুঝি গর্তত বাস পল্টি খায়।’
বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, ভাঙাচোরা এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে বাস চলছে। শিগগির মেরামত করা না হলে এ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে।
সওজের বগুড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল হালিম বলেন, সড়কের ওই ১০ কিলোমিটার অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। সড়কটি সংস্কারে ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে মেরামত করা সম্ভব হবে।