অনিয়ম তদন্তে এবার মন্ত্রণালয়ের কমিটি

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অধিকতর তদন্তে এবার মন্ত্রণালয় থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবকে (প্রশাসন)। তদন্ত কমিটি গঠন-সংক্রান্ত চিঠির অনুলিপি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার জেনারেল হাসপাতালে এসে পৌঁছেছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুরশিদ আরা বেগম বলেন, মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ‘১৫ হাজার টাকার যন্ত্র কেনা হলো ৯ লাখ ৩২ হাজারে!’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল যন্ত্রপাতি কেনাকাটার অনিয়ম তদন্তে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। চট্টগ্রামের
তৎকালীন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন ছিলেন কমিটির প্রধান। মেজবাহ উদ্দিনের কমিটি ৭ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রাথমিক তদন্ত কমিটি কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায়। তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আলোচনাও হয়।
পরে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় সাংসদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু তদন্ত প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে পাঠান। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে সাংসদ উল্লেখ করেন, ‘২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ভারী যন্ত্রপাতি কেনার সময় গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন আপনার অবগতি এবং অধিকতর তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হলো।’
২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনায় দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী গতকাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেনাকাটার অনিয়ম-সংক্রান্ত বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করব।’
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা দামের এমআরআই মেশিন কেনা হয়েছে ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। সাড়ে ২৪ লাখ টাকার কালার ডপলার মেশিন কেনা হয়েছে ৬৫ লাখ টাকায়। এ ছাড়া আরও ১০ ধরনের যন্ত্রপাতি বাজারদরের চেয়ে অস্বাভাবিক বেশি দামে কেনা হয়েছে।