পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোক্তার হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার বুরাইচ ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোক্তার উপজেলার বানা ইউনিয়নের কোনা গ্রামের বাসিন্দা।

আলফাডাঙ্গা থানার পুলিশের দাবি, মোক্তার হোসেন একজন কুখ্যাত ডাকাত। তিনি মোক্তার বাহিনী নামে একটি ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিতেন। তাঁর বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা, কাশিয়ানী ও মাগুরা থানায় ১৫টি ডাকাতি ও দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলিসহ একটি শাটারগান ও ১০টি বোমা উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশের ভাষ্য, গতকাল রাত নয়টার দিকে জয়দেবপুর গ্রামের বারাশিয়া নদীর পাড়ে জাকির ফকিরের বাড়িতে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একটি বোমা বিস্ফোরিত হলে মোক্তার হোসেনসহ পাঁচজন আহত হন। পুলিশ ওই পাঁচজনকে আটক করে। আটক অপর চারজন হলেন বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি গ্রামের জাকির শেখ, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদ ও পাপিয়ার শেখ এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার চর নারায়ণদিয়া গ্রামের ইয়ারু সিকদার। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় জাকিরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা করেছে। অন্যদের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য, রাত পৌনে তিনটার দিকে পুলিশ মোক্তার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য জয়দেবপুর গ্রামে একটি ইটভাটার কাছে যায়। এ সময় সেখানে লুকিয়ে থাকা ডাকাত দলের অপর সদস্যরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় মোক্তার হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর সদর সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. কামরুজ্জামান জানান, রাতে মোক্তারকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপর ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি করেন। এ ঘটনায় আহত উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ হোসেন, দুই কনস্টেবল সুব্রত কুমার ও লোকমান হোসেনকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানায়।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশ ১৫টি গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় নিহত মোক্তার হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ সোমবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।