'সন্দেহভাজন' খুনি নিহত

রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরে গতকাল বুধবার সকালে পুলিশের সঙ্গে ‘গোলাগুলি’ চলাকালে মনিরুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
পুলিশের দাবি, নিহত মনিরুল বাড্ডার ময়নারবাগে ঠিকাদার ও নির্মাণশ্রমিক হত্যার ঘটনার সন্দেহভাজন খুনি। পুলিশ গতকাল সকাল ছয়টার দিকে আফতাবনগরের ৩ নম্বর সেক্টরের এম ব্লকের একটি বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় মনিরুল ও তাঁর সঙ্গীরা গুলি ছোড়েন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় মনিরুল আহত হন। অন্যরা পালিয়ে যান। আহত মনিরুলকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। সেখানে বেলা একটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি বাড্ডার ময়নারবাগে থাকতেন।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মনিরুলকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে তাঁর কাছ থেকে গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘণ্টা খানেক পরে আফতাবনগর এলাকা থেকে তাঁর সহযোগী জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত মনিরের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
ওসি আরও জানান, পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে, মনিরুলই নিরব পরিচয়ে ময়নাবাগের নির্মাণাধীন ভবনের মালিক ফারুক হোসেনকে চাঁদার জন্য হুমকি দিয়েছিলেন। মনিরুলের জুয়েলসহ সাতজনের একটি সন্ত্রাসী দল রয়েছে। এদের নিয়েই তিনি চাঁদাবাজি করেন। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত মঙ্গলবার সকালে মধ্য বাড্ডার হোসেন মার্কেটের পেছনে ময়নারবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে ঠিকাদার ফারুক হাওলাদার ও নির্মাণশ্রমিক মিলন নিহত হন। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁদের হত্যা করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
ময়নারবাগের বাসিন্দা ফারুক হোসেন তাঁর পৈতৃক জমিতে ভবন নির্মাণের কাজ করছিলেন। কয়েক দিন আগে নিরব নামের এক সন্ত্রাসী তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু ফারুক চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।