জিয়ার 'মাজার' নিয়ে সরকারকে রিজভীর হুঁশিয়ারি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর টার্গেটই হচ্ছে জিয়াউর রহমানের ‘মাজার’। সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্রে সরকার নিজেদের পতনে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করবে।

আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।

জনগণ জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর প্রক্রিয়া রুখে দেবে—এমন আশার কথা জানিয়ে রিজভী অভিযোগ করেন, ‘লুই আই কানের নকশা নিয়ে সরকারের দৌড়ঝাঁপ প্রধানমন্ত্রীর হিংসাশ্রয়ী আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। তিনি দেশকে এক অশুভ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে চান। প্রধানমন্ত্রী হানাহানি আর রক্তপাত ছাড়া সুস্থির থাকতে পারেন না। দেশের অভ্যন্তরে বিভেদ-বিভাজনই যেন তাঁর একমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি।’

রিজভী বলেন, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার সৌন্দর্য বহাল রাখতে মূল নকশায় নেই—এমন স্থাপনা সরিয়ে ফেলতে প্রায় চার লাখ ডলার, অর্থাৎ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতীয় সংসদের মূল নকশা সংগ্রহ করেছে সরকার। মূল নকশাবহির্ভূত স্থাপনা অপসারণের নামে সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জিয়াউর রহমানে মাজার কমপ্লেক্স এখান থেকে উচ্ছেদ করা। বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে সংসদ ভবন এলাকায় এই নকশার বাইরে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয়, সংসদ সদস্যদের বাসভবন করেছে, সংসদ ভবনের চারদিকে লোহার সীমানাপ্রাচীর, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে র‌্যাবের কার্যালয়, স্কুলসহ আরও অনেক মূল্যবান স্থাপনা তৈরি করেছে। এ ছাড়া মেট্রোরেল প্রকল্পও এই নকশার ভেতর দিয়ে স্থাপন করা হবে। লুই আই কানের নকশা বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবু সরকার এই নকশা বাস্তবায়নের নামে কেবল জিয়ার মাজারটি সরানোর চক্রান্তমূলক নীলনকশা করছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, দেশের সামগ্রিক নির্বাচন নিয়ে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার যে অনাচারের সংস্কৃতি চালু করেছে, সেটির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেই জনগণের শক্তি নিয়ে সরকারি দাপট মোকাবিলা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভোটারদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে। সরকারি দল যাতে ভোট ডাকাতি না করতে পারে, সে জন্য সাধারণ ভোটারদের সতর্ক থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করতে হবে।