দুই নারীসহ আরও ছয়জন গ্রেপ্তার, মালামাল উদ্ধার

ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই নারীসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল সাত। গত মঙ্গলবার রাতে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ছ্যানখালী এলাকায়।

বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি যাত্রীবাহী বাসে এ ডাকাতি হয়। ডাকাতেরা যাত্রীবেশে ওই বাসে অবস্থান করছিল। ডাকাতির পর তারা একটি মাইক্রোবাসে পালিয়ে যায়। পুলিশ মাইক্রোবাসটিকে তাড়া দিয়ে গুলি করে গতিরোধ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ডাকাতি করে নেওয়া কিছু মালামাল। পুলিশের গুলিতে আহত আনোয়ার হোসেন (৫০) বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মে. কামরুজ্জমান জানান, এ ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গত বুধবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর সদর ও মধুখালীতে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে নড়াইলের লোহাগড়ার হাসান মোল্লা (৩২), পাবনার বেড়ার আরিফ হোসেন (২৮) ও বরগুনা সদরের নজরুল ইসলামকে (৩৪) ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মধুখালীর বোয়ালিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ফরিদপুরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রহিমপুর এলাকা থেকে শরিফুল ইসলাম (২৪), আরজিনা বেগম (৩৫) ও সাথী বেগমকে (২৪) ডাকাতির মালামালসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বাড়ি থেকে আরও ১০টি লাগেজ, দুটি সোনার চেইন ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

মধুখালীর ওসি রুহুল আমিন বলেন, বাসে ডাকাতির ঘটনায় রয়েল পরিবহনের ওই বাসের যাত্রী মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের সুজন ভিস্তি বাদী হয়ে মধুখালী থানায় মামলা করেছেন। এ ছাড়া মধুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে পৃথক আরেকটি মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় ‘ফরিদপুরে বাস ডাকাতি, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়।