মতলবে সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ারের (জরিপকারক) বিরুদ্ধে এক কৃষকের কাছে উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই কৃষক।
ওই সার্ভেয়ারের নাম তানিয়া আক্তার। অভিযোগকারী কৃষকের নাম সাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী। তাঁর বাড়ি হুরমহিষা গ্রামে।
অভিযোগপত্রে সাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী উল্লেখ করেন, তাঁর ভাই মো. তমিজ উদ্দিন তাঁদের পৈতৃক বসতভিটার আড়াই শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। ২০১৪ সালে তাঁদের প্রতিবেশী আফজালুর রহমান ওই জায়গার মালিকানা দাবি করে দখল করার চেষ্টা করেন। জায়গার মালিকানা বহাল রাখার জন্য এবং দুই পক্ষের মধ্যে শান্তিভঙ্গের আশঙ্কায় ওই বছরের এপ্রিল মাসে তাঁর ওই ভাই চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা হাকিমের আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। পরে তাঁর ভাই মারা যাওয়ায় মামলাটি এখন তিনি দেখভাল করছেন।
সাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী উল্লেখ করেন, মামলা দায়েরের পর আদালত ওই জায়গার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য থানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ২০১৪ সালের ১৪ মে পুলিশ এ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়। গত বছরের আগস্ট মাসে বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করার জন্য ওই আদালত উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেন। সহকারী কমিশনার বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার তানিয়া আক্তারকে।
সাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী অভিযোগ করেন, তদন্ত প্রতিবেদন তাঁর পক্ষে দেওয়ার কথা বলে ওই সার্ভেয়ার (তানিয়া) মুঠোফোনে ও সরাসরি তাঁর কাছে ১ লাখ টাকার ঘুষ দাবি করেন। এতে রাজি না হলে সার্ভেয়ার মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরি করে সহকারী কমিশনারের কাছে জমা দেন। সেখান থেকে গত ৩০ আগস্ট ওই প্রতিবেদন আদালতে জমা হলে মামলাটি নথিজাত (খারিজ) হয়ে যায়। এতে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে তানিয়া আক্তার বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
সহকারী কমিশনারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ইউএনও শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত চলছে। এতে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ওই সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।