নাসিরনগরের ঘটনায় বহিষ্কৃত আ.লীগ নেতা রিমান্ডে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ আলীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শফিকুল ইসলাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সুরুজ আলী উপজেলার চাপৈরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নাসিরনগরের সমাবেশে অংশগ্রহণ ও বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগ তাঁকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে। নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক আবুল হাসেম এবং হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক মিয়া নামের আরও দুজনকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. মাহাবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সুরুজ আলীকে আজ দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শওকত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নাসিরনগর উপজেলার সদরের গৌরমন্দিরের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলায় সুরুজ আলীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালতে সুরুজ আলীর সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

এর আগে গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার চাপৈরতলা ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে সুরুজ আলীকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, হামলার ঘটনার আগে উপজেলা সদরের আশুতোষ খেলার মাঠের সমাবেশে সুরুজ আলী হাত উঁচিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। গত ৩০ অক্টোবর ঘটনার ভিডিওচিত্রে এমনটি দেখা গেছে।

৩০ অক্টোবর রাতে নাসিরনগরের রসরাজ দাস নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্ট নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দুবসতি ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। নাসিরনগর সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে হরিণবেড়ে রসরাজদের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এরপর আরও চার দফায় হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় আটটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১০৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।