নোয়াখালী-লাকসাম রেলপথে ১০ দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ

ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নোয়াখালী-লাকসাম রেলপথে ১০ দিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ওই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৮ ডিসেম্বর লাকসাম থেকে সর্বশেষ নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেন নোয়াখালী আসে। এ ছাড়া ১২ ডিসেম্বর নোয়াখালীর সোনাপুর স্টেশন থেকে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথে নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা বলে রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ১৩ ডিসেম্বর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিরোধী দলের অবরোধ চলাকালে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নোয়াখালী-লাকসাম রেলপথের বিপুলাসার ও নাথের পেটুয়া স্টেশনে হামলা-ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। এ ছাড়া সোনাইমুড়ী এলাকায় রেলসেতুতে একাধিকবার আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধের কারণে এ পথটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এরপর ট্রেন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নোয়াখালী-লাকসাম রেলপথের নিয়মিত যাত্রী নোয়াখালী শহরের হরিনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা আবিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের অন্যান্য রেলপথে অনেক বড় বড় নাশকতা হলেও কোথায়ও এত দীর্ঘ সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়নি। কিন্তু নোয়াখালী-লাকসাম রেলপথে বড় ধরনের কোনো নাশকতা কিংবা দুর্ঘটনা না ঘটলেও ঝুঁকিপূর্ণ অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে আমরা সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।’
নোয়াখালীর মাইজদীকোর্ট স্টেশনের স্টেশনমাস্টার কিতু রঞ্জন ভূঁইয়া বলেন, ১২ ডিসেম্বর সর্বশেষ নোয়াখালী থেকে উপকূল এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এরপর নোয়াখালী-লাকসাম রেলপথটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হবে তা তাঁরাও জানেন না।