মাদকাসক্ত শিহাবের মৃত্যু ছোট ভাইয়ের হাতে!

আদাবরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিহাবুল ইসলাম খানকে খুনের দায় স্বীকার করেছে তাঁর উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া ছোট ভাই। গতকাল সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে সে। তবে এ বিষয়ে তার পরিবারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, জবানবন্দিতে কলেজপড়ুয়া ওই শিক্ষার্থী বলে, শিহাবুল ইসলাম খান মাদকাসক্ত ছিলেন। এ নিয়ে বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি হতো। তিনি টাকাপয়সার জন্য পরিবারের সবাইকে মারধর করতেন। মৃত্যুর দিন কয়েক আগে শিহাব তাঁর মাকে পেটান। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে একটি চাকু জোগাড় করে। ১০ জানুয়ারি রাতে শিহাবের ঘরে ঢুকে সে শিহাবকে এলোপাতাড়ি কোপায়। তারপর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। যে সময় শিহাব খুন হন, সে সময় বাসায় তাঁদের মা-বাবা ও বোন ছিলেন। শিহাবের ঘরের দরজা বন্ধ থাকলেও কেউই কিছু সন্দেহ করেননি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে তিনি প্রায়ই গভীর রাতে বাসায় আসতেন। পরদিন সকালে ছেলেটি তার মাকে পুরো বিষয় জানায়। তার মা খুনের ঘটনা কারও কাছে প্রকাশ না করে সবাই মাদারীপুরে চলে যান। ১৪ তারিখ বাড়ি ফিরে শিহাবের ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তার বাবা বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন। সেখানেই ছেলের অর্ধগলিত লাশ দেখতে পান।

ওই ঘটনায় শিহাবের বাবা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে আদাবর থানায় মামলা করেন ১৪ জানুয়ারি। পুলিশ বলছে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদের মনে হয়েছিল, ঘটনাটি হয়তো পরিবারের কেউই ঘটিয়ে থাকবে। রোববার শিহাবের কলেজপড়ুয়া ছোট ভাই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই খুনের কথা স্বীকার করে।

এ বিষয়ে জানতে শিহাবের মা-বাবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এক নারী বলেন, নম্বরটি তাঁদের নয়।