দিরাইয়ে জলমহালের দখল নিয়ে সংঘর্ষে ঘটনায় মামলা

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় জলমহালের দখলকে কেন্দ্র দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি মামলা হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য একরার হোসেন দিরাই থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় দিরাই পৌরসভার মেয়র ও দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার সকালে দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের পাশের জারলিয়া জলমহালে এই ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাতিয়া গ্রামের তাজুল ইসলাম (৩৩), আকিলপুর গ্রামের সাহারুল ইসলাম (২৮) ও উজ্জ্বল মিয়া (৩০) মারা যান। এতে আহত হন আরও ২২জন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, দিরাই উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে জারুলিয়া জলমহাল। এটি প্রশাসনের কাছ থেকে নাগেরগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ইজারা নেওয়া। সমিতিকে সামনে রেখে মূলত এর ভোগদখল করে আসছিলেন দিরাই পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মিয়ার পক্ষের লোকজন। জলমহালটির দখল নিয়ে তাঁদের সঙ্গে হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য একরার হোসেনের লোকজনের আগে থেকেই বিরোধ চলছে। মৎস্য আহরণ মৌসুম সামনে রেখে এ বছর এ বিরোধ চরমে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় ভয়াবহ ওই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। সংঘর্ষে নিহত তিন ব্যক্তিই একরার হোসেনের সমর্থক।

একরার হোসেন বলেন, আমি ওই জলমহালের অংশীদার। সমিতির কাছ থেকে মাছ ধরার জন্য ছয় বছরের চুক্তি করেছেন। ঘটনার পর মামলা না করার জন্য আমাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।

দিরাই থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল জলিল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: