আ.লীগ-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি মামলা

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় জলমহালের দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিরাই থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে।

একটি মামলা করেছেন দিরাই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও সংঘর্ষে জড়ানো পক্ষ দুটির একটির নেতৃত্বে থাকা একরার হোসেন। অপর মামলাটি করেন স্থানীয় দক্ষিণ নাগেরগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় দাস। ধনঞ্জয় মামলাটি করলেও মূলত সমিতির নেপথ্যে রয়েছেন সংঘর্ষে জড়ানো অপর পক্ষের নেতা দিরাই পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ মিয়া।

সুনামগঞ্জের এসপি মো. হারুন-অর-রশীদ প্রথম আলোকে পাল্টাপাল্টি এই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হত্যার অভিযোগে একরার হোসেনের করা মামলায় মোশারফ মিয়া ছাড়াও দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়। জলমহাল লুটের অভিযোগে ধনঞ্জয় দাসের করা মামলায় একরারসহ ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের পাশের জারলিয়া জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাতিয়া গ্রামের তাজুল ইসলাম, আকিলনগর গ্রামের সাহারুল ইসলাম ও উজ্জ্বল মিয়া নিহত হন। আহত হন আরও ২২ জন। নিহত তিনজনই একরারের সমর্থক। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবারের সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কাউকে আটক করতে পারেনি।