'নিখোঁজ' ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখাল পুলিশ

সাংসদ মনজুরুল ইসলাম হত্যা
সাংসদ মনজুরুল ইসলাম হত্যা

‘নিখোঁজের’ ১১ দিন পর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ডিশ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামকে সাংসদ মনজুরুল ইসলাম (লিটন) হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকালে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া সাংসদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন মাসুদুর রহমান ও সাইফুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, সাংসদ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে উপজেলার ধোপাডাঙ্গা এলাকা থেকে গতকাল সকালে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এক দিন আগে গত রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে রেজাউলের মা আম্বিয়া খাতুন অভিযোগ করেন, ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাদাপোশাকের পুলিশ তাঁর ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও পুলিশ নেয়নি।

এদিকে গতকাল সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার মাসুদুর রহমান এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির ইউনুস আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ময়নুল হাসান ইউসুফ।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঘাগোয়া গ্রামের বাড়ি থেকে গত শুক্রবার ভোররাতে মাসুদুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাসুদুর পাঁচ বছর গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জামায়াতের সাবেক সাংসদ আবদুল আজিজের একান্ত সহকারীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে মাসুদুরের পরিবারের পক্ষ থেকে গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। তিনি সুন্দরগঞ্জের ইমামগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

সাইফুল ইসলাম নিখোঁজ ছিলেন ১০ জানুয়ারি থেকে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দিনাজপুর সদরের তাজপুর গ্রাম থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের গাইবান্ধা রোড থেকে সাংসদ হত্যা মামলায় সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মনজুরুল ইসলাম।